বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংগৃহীত পবিত্র কোরআন শরিফের প্রাচীন পৃষ্ঠাগুলো ও হাল সময়ে বিভিন্ন দেশের প্রাপ্ত প্রাচীন কোরআনের পাণ্ডলিপিগুলো সুরক্ষার জন্য আহবান জানালেন ইসলামি বিশ্ব ইতিহাস, শিল্প এবং সংস্কৃতি সংস্থা ‘আরসিকা’র (Research Centre for Islamic History, Art and Culture -IRCICA) মহাসচিব ।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে ইসলামি বিশ্ব ইতিহাস, শিল্প এবং সংস্কৃতি সংস্থা ‘আরসিকা’র মহাসচিব ‘খালিদ আর্দান’ বলেন, এ সংস্থাটি ২০০৫ সাল থেকে কোরআন শরিফের প্রাচীন পাণ্ডুলিপি নিয়ে গবেষণা করে আসছে এবং এ পর্যন্ত উক্ত কেন্দ্র থেকে বেশ কিছু প্রাচীন কোরআন প্রকাশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংগৃহীত কোরআন শরিফের প্রাচীন পৃষ্ঠাগুলো সম্পর্কে খালিদ আর্দান বলেন, আবিস্কৃত পৃষ্ঠাগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনো তথ্য প্রকাশ হয়নি।
ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবিষ্কৃত কোরআন শরিফের পাণ্ডুলিপির ইতিহাস সম্পর্কে আর্দান বলেন, বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরীর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রাচীন কোরআন শরিফের চিত্রে বিভিন্ন চিহ্ন, নোক্তা (বিন্দু), অক্ষর এবং আয়াতের মধ্যকার দূরত্ব থেকে স্পষ্ট যে প্রাপ্তি এ পৃষ্ঠাগুলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবদ্দশায় লেখা হয়নি।
ইস্তাম্বুলের ‘Topkapi’ প্রসাদে সংরক্ষিত কোরআন শরিফটিকে বিশ্বের প্রাচীনতম কোরআন শরিফ হিসেবে অভিহিত করে বলেন তিনি বলেন, উক্ত প্রাচীন কোরআন শরিফের পৃষ্ঠাগুলো প্রায় পূর্ণ। শুধুমাত্র দুটি পৃষ্ঠার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ইসলামি বিশ্ব ইতিহাস, শিল্প এবং সংস্কৃতি সংস্থা ‘আরসিকা’ একটি গবেষণ সেন্টারের নাম। এ সেন্টারটি ওআইসির সংস্কৃতি, শিল্প ও ইতিহাসের গবেষণা কেন্দ্রের অন্তর্গত। উক্ত সেন্টারে গবেষকগণ ইসলামি বিশ্বের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও শিল্প নিয়ে গবেষণা করেন। ওআইসির সংস্কৃতি, শিল্প ও ইতিহাসের গবেষণা কেন্দ্রটি ১৯৮০ সালে গঠিত হয়েছে। যা তুরস্কে অবস্থিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘন্টা, জুলাই ৩০, ২০১৫
এমএ/