অনেকেই শারিরীক অসুস্থতাসহ নানাবিধ শরয়ী কারণে রমজানের রোজা রাখতে পারেননি। এখন সময় সুযোগ ও সামর্থ্য হয়েছে ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় করার।
রমজানের কাজা রোজা আদায়ের বিষয়ে সব ইমাম একমত যে, কোনো ব্যক্তি যে কয়দিনের রোজা রাখতে পারেনি সে কয়দিনের রোজা কাজা আদায় করবে। এভাবে রোজা কাজা আদায়ের বিষয়ে পবিত্র কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অসুস্থ থাকবে অথবা সফরে থাকবে সে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূর্ণ করবে। ’ -সূরা আল বাকারা: ১৮৫
ইসলামি শরিয়তের বিধান হলো, কাজা রোজা আদায়ের ক্ষেত্রে লাগাতারভাবে রোজা রাখা ফরজ নয়। ইচ্ছা করলে লাগাতারভাবে রোজা রাখা যায়; আবার ইচ্ছা করলে আলাদা আলাদাভাবেও রোজা রাখা যা।
আসলে রোজা পালনকারীর সামর্থ্য ও সাধ্যানুযায়ী বিষয়টি নির্ধারিত হবে। ইচ্ছে হলে প্রতি সপ্তাহে একদিন অথবা প্রতি মাসে একদিন রোজা রাখতে পারেন। উল্লেখিত পবিত্র কোরআনের আয়াতে কাজা রোজা পালনের ক্ষেত্রে লাগাতারভাবে রোজা রাখার কোনো শর্ত করা হয়নি। বরং শুধু যে কয়দিন রোজা ভঙ্গ করা হয়েছে সে সম সংখ্যক দিন রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছে। -আল মাজমু: ৬/১৬৭ ও আল মুগনি: ৪/৪০৮
যদি লাগাতারভাবে কেউ রোজা রাখে সেটা উত্তম। তবে রোজার কাফফারার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে ৬০ দিন রোজা রাখতে হবে। এখানে মাঝে রোজার বিরতি দিলে পুনরায় নতুন করে দিন গণনা শুরু করতে হবে এবং ৬০টি রোজা পূর্ণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘন্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৫
এমএ/