ইসলামি পরিভাষা অনুযায়ী, পার্থিব জীবনে যে সব মুসলমান দুনিয়ায় আল্লাহতাযালার আদেশ নিষেধ মেনে চলবে এবং পরকালীন হিসাবে যার পাপের চেয়ে পুণ্যের পাল্লা ভারী হবে ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে তাদের জন্য আল্লাহতায়ালা যে সব স্বর্গ প্রস্তুত রেখেছেন- তাকেই জান্নাত বলে। জান্নাত আরবি শব্দ, অর্থ বাগান বা উদ্যান।
একজন মোমিন মুসলমান নিচের আমলগুলো করলে সহজে জান্নাত লাভ করতে পারে।
ক. যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ‘আয়াতুল কুরসি’ পাঠ করবে, সে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। -বায়হাকি: ২/৪৫৮
খ. যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিবের নামাজ শেষে ‘আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার’ সাতবার পাঠ করবে সে যদি ওই রাতে বা দিনে মারা যায় তাহলে অবশ্যই জাহান্নাম থেকে নাজাত পাবে। -সুনানে আবু দাউদ: ২/৭৪১
গ. যে ব্যক্তি সকালে ‘আউজু বিল্লাহিস সামিয়িল আলিমি মিনাশ শায়তনির রাজিম’ তিনবার পড়ার পর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত একবার পাঠ করবে, আল্লাহতায়ালা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন, যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকবে। আর যদি সে ব্যক্তি ওই দিন মারা যায় তাহলে শহীদি মৃত্যু লাভ করবে। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এ আমল করবে সেও ওই সম্মানের অধিকারী হবে। -সুনানে তিরমিজি: ৫/১৮২
ঘ. যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে ‘সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার’ দিনে পড়বে, সে যদি ওইদিন সন্ধ্যা হওয়ার আগে মারা যায় তাহলে সে জান্নাতে যাবে। আর যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে রাতে পড়বে, সে যদি সকাল হওয়ার আগে মারা যায় তাহলে সেও জান্নাতে প্রবেশ করবে। -সহিহ বোখারি: ৮/৬৭
ঙ. যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার এ দোয়াটি পড়বে (রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাও ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনাও ওয়া বি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যাও ওয়া রসুলা) আল্লাহতায়ালার ওপর অবধারিত হবে কেয়ামাতের দিন তাকে (জান্নাত দানের মাধ্যমে) খুশি করা। -সুনানে তিরমিজি: ৫/৪৬৫
পরামর্শ, বর্ণিত দোয়াগুলো আপনার নিকটস্থ মসজিদের ইমাম-খতিব অথবা কোনো আলেমের কাছ থেকে সহিহ-শুদ্ধভাবে শিখে নিবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘন্টা, আগস্ট ১১, ২০১৫
এমএ/