লালমনিরহাট জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে একটি প্রাচীন মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। মসজিদটি ৬৯ হিজরি বা ১৩৬৮ বছরের পুরনো বলে দাবি উঠেছে।
রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের ১ কিলোমিটার দক্ষিণে পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় জঙ্গল ও টিলা পরিষ্কার করতে গিয়ে ২১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের এ প্রাচীন মসজিদটি আবিষ্কৃত হয়। এর দেয়াল সাড়ে চার ফুট পুরু, দরজা ১টি এবং চারকোণে ৪টি অষ্টকোণ-বিশিষ্ট স্তম্ভ ছিল। এর ধ্বংসস্তূপ থেকে কারুকার্যময় ইট আর গম্বুজেরও সন্ধান পাওয়া যায়। এখানে ছিল ৬ ইঞ্চি মাপের একটি ইষ্টকলিপি। এতে স্পষ্টাক্ষরে আরবী ভাষায় হিজরি ৬৯ সন আর কালেমা তাইয়্যেবা খোদাই করা ছিল। ইষ্টকলিপিটি বর্তমানে রংপুর জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। তখন থেকেই এটি ‘হারানো মসজিদ’ নামে খ্যাতি পেয়েছে। এখানে মুসল্লিরা নিয়মিত নামাজ পড়ছেন।
কারো কারো মতে, এটিই এশিয়া মহাদেশের প্রথম মসজিদ। বর্তমানে মসজিদটির চারপাশ ঘিরে সুদৃশ্য মসজিদ কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ চলছে। এর নতুন নামকরণ হয়েছে ‘সাহাবায়ে কেরাম মসজিদ’।
জনশ্রুতি আছে, ১৯৮৭ সালে জমির মালিক আবদুল গফুর গায়েবি কণ্ঠে আদিষ্ট হয়ে তার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ফজরের ওয়াক্তে আজান দিয়ে পরিত্যক্ত স্থানটি পরিষ্কার করে নামাজ পড়া শুরু করেন। মসজিদ পুনর্নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনসাধারণ ২০ শতক জমি ওয়াকফ করেছেন। বর্তমানে সেখানে নতুন মসজিদ নির্মাণের কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৫
এমএ/