কানাডার সাধারণ নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয়ী লিবারেল পার্টির প্রধান এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, যে কোনো সম্প্রদায়ের মহিলাদের তাদের স্ব স্ব পছন্দ অনুযায়ী পোশাক পরিধান করার স্বাধীনতা আছে। তার পোশাকের কোনো ধরনের নিন্দা করে রাজনৈতিক বিতর্কের সম্মুখে নিয়ে আসা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর বিজয় ভাষণে তিনি এসব বলেন। ওই ভাষণে হিজাবি এক নারীর কথাও তুলে ধরে জাস্টিন কানাডার জনগণের বৈচিত্রের কথা স্মরণ করে মুসলিমদের অধিকার রক্ষার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নির্বাচনোত্তর বিজয় বক্তৃতায় জাস্টিন ট্রুডো বলেন, এক সভায় এক তরুণী মা তার সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন আমার কাছে। তিনি একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিম। মাথায় হিজাব পড়া। তিনি তার শিশু সন্তানকে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে যে কথাটি বললেন, সেটি আমি কখনই ভুলবো না। ওই হিজাবি নারী বললেন, আমাদের সন্তানের অধিকার রয়েছের তার নিজের ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। আমি আপনার দলকে ভোট দিচ্ছি এই আশায় যে তার এই অধিকার আপনারা রক্ষা করবেন।
এরপর সদ্যবিজয়ী প্রধানমন্ত্রী ওই নারীসহ কানাডার সমস্ত মুসলমান এবং কানাডাবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি জানি কানাডাকে গড়ে তোলার জন্য পৃথিবীর সকল প্রান্ত থেকে আসা, সকল বিশ্বাসের মানুষদের ভূমিকা আছে। এটা বৈচিত্রময় দেশ।
এই বৈচিত্র ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিলে উপস্থিত জনতা তুমুল করতালি দিয়ে তার বক্তব্যকে স্বাগত জানান।
উল্লেখ্য যে, কানাডার সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরা বা মুখ আবৃত রাখার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। তিনি হিজাবের বিষয়টিকে দেশের এক নম্বর সমস্যারূপে জাতির তুলে আনার চেষ্টা করেন। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।
কানাডার অর্থনৈতিক অবস্থা, অভিবাসন নীতিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে উত্থাপিত প্রশ্নগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য হার্পার এ পথ অবলম্বন করেছেন বলে মনে করা হয়।
-অন ইসলাম অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
এমএ