ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

চাচার হত্যাকারীকেও ক্ষমা করেছিলেন রাসূল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৬
চাচার হত্যাকারীকেও ক্ষমা করেছিলেন রাসূল ছবি: দীপু মালাকার / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ইসলাম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিহাদ করে। রাসূল (সা.) যুদ্ধ করে মদিনা দখল করেননি, বরং ইসলামের বাণী প্রচার করেছেন।

আমাদের মহানবীর সৌন্দর্য প্রচার করতে হবে।

মহানবীর মহানুভবতার উদাহরণ দিতে গিয়ে রাহাবার মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড-এর  চেয়ারম্যান হাফেজ মুফতি সাইফুল ইসলাম বলেন, মহানবী (সা.) এর প্রিয়ভাজন চাচা, ইসলামের প্রথম সেনাপতি হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিবকে হত্যা করেছিলেন ইথিওপিয়ার ওয়াহসী ইবনে হারব।

ওয়াহসিকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন রাসূল। পরে ওয়াহসি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

ইসলামের মাহাত্ম্যের উদাহরণ দিতে গিয়ে সাইফুল বলেন, একদিন রাসূল বাজার দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় এক বিক্রেতার কুড়োতে হাত দিয়ে দেখেন মাঝখানে ভেজা। রাসূল বিক্রেতাকে বলেন, যে ব্যবসা করে মানুষ ঠকায়, সে আমার উম্মত নয়।

পৃথিবীতে একমাত্র আইডল মহানবী, যাকে যে কোনো সময় আদর্শ হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। ইসলাম হচ্ছে একমাত্র জীবন বিধান, যেখানে রাস্তা থেকে ময়লা সরিয়ে নেওয়াটাও ইবাদত। তাই আমাদের মহানবীর সৌন্দর্য, ইসলামের সৌন্দর্য প্রচার করতে হবে। বলেন তিনি।

সাইফুল বলেন, মহানবী নিজেও ছিলেন সংবাদকর্মী। তিনি আল্লাহর প্রেরিত সংবাদ আমাদের কাছে প্রচার করেছেন। আমাদের সব ধরনের মিডিয়ায় রাসূলের মূল্যবোধ প্রচার করতে হবে।

শনিবার (০২ জানুয়ারি) ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের (ইডব্লিউএমজিএল) কনফারেন্স রুমে বাংলানিউজের ইসলাম বিভাগের আয়োজনে ‘ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রিয় নবী (সা.)-এর মূল্যবোধ চর্চা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

ইডব্লিউএমজিএল কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ সেমিনারে অংশ নিচ্ছেন দেশের বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, খ্যাতিমান লেখক ও ধর্মীয় গবেষকরা।

 জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া মোহাম্মদপুর ও কলাম লেখক মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, ইসলামি পত্রিকা পরিষদের সভাপতি ও মাসিক আদর্শ নারী পত্রিকার সম্পাদক মুফতি আবুল হাসান শামসাবাদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্দু বিভাগের অধ্যাপক মুফতি ড. গোলাম রব্বানী, মালযেশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল শরিয়া রিসার্স একাডেমির (ইসরা) গবেষণা সহকারী মুফতি ইউসুফ সুলতান সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

আরও ছিলেন বসুন্ধরা ইসলামি রিসার্স সেন্টারের সহকারী মুফতি শরিফুল আজম, রাহাবার মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান হাফেজ মুফতি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা জহির উদ্দিন বাবর, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির ধর্ম বিভাগের সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব, প্রিয়.কমের প্রিয় ইসলাম বিভাগের বিভাগীয় সম্পাদক মাওলানা মিরাজ রহমান, জামিয়া মাহমুদিয়া মেরাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল আলম ইসহাকি, ইসলামী লেখক ও গবেষক মুফতি মাহফূযুল হক, তরুণ আলেম ও লেখক মাওলানা আতাউর রহমান খসরু, টঙ্গীর জামিয়া নুরিয়া’র মুহাদ্দিস মাওলানা রিয়াদুল ইসলাম মল্লিক, উত্তরার মাওলানা মুফতি ইউসুফ, মাওলানা রশিদুল হক, মাওলানা তানজিল আমির।

বাংলানিউজের কনসালট্যান্ট এডিটর জুয়েল মাজহার ও হেড অব নিউজ মাহমুদ মেনন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলানিউজের ইসলাম বিভাগের বিভাগীয় সম্পাদক মুফতি এনায়েতুল্লাহ সেমিনার পরিচালনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৬
এমআইএইচ/এমএন/এএ

** ‘মহানবী বসে পড়েছিলেন’

** আলেম-ওলামাদের ডিজিটাল মিডিয়ায় আসতে হবে
** বাংলানিউজের ইসলামি সেমিনার শুরু
** ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রিয় নবী (সা.)-এর মূল্যবোধ চর্চা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।