ফ্রান্সে বোরকা পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চালু হয় ২০১০ সালে। বেলজিয়াম এবং সুইজারল্যান্ডের কিছু অংশেও বোরকা পরিধান নিষিদ্ধ।
ওই দিন ছাত্রীরা নারীদের হিজাব পরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যদিও আপনি মনে করেন, প্রত্যেক নারীর নিজের পছন্দমতো পোশাক পরার অধিকার রয়েছে। ’
প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ফ্রান্সে ইসলামভীতি বেড়েছে। এর মধ্যে একজন ছাত্র ফেসবুক পোস্টে হিজাব পরার আমন্ত্রণ জানিয়ে লিখেছেন, ‘এর মাধ্যমে ফ্রান্সের নারীরা অন্য রকম অভিজ্ঞতা লাভ করবে। ’
ডজনখানেক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি টেবিলের সামনে রঙিন স্কার্ফ পরে প্রচারপত্র বিতরণ করেছেন, যেখানে লেখা ছিল, ‘হিজাব ছাড়াও ফ্রান্সে ৯৯টা সমস্যা রয়েছে। ’
হিজাব দিবস পালনের আয়োজকদের একজন লেটিথিয়া বলেন, ‘এটা করা হচ্ছে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য, এ নিয়ে একটি উন্মুক্ত বিতর্ক হতে পারে, যদিও এ বিষয়ে জনসম্মুখে আলোচনা আমি কমই শুনেছি। ’
অপর এক ছাত্রী ইমিন, তিনি বলেন, বুধবার সকালে শহরের রাস্তায় প্রথমবারের মতো নেকাব পরে বের হয়েছি।
তাদের ফেসবুকে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর একটি মন্তব্যের সমলোচনা করা হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল মন্তব্য করেছিলেন, হিজাব নারীদের দাসত্বের প্রতীক।
তাদের এ উদ্যোগের অনেকেই সমালোচনা করলেও একটি নারীবাদী সংগঠন এর সমর্থন করে বলেছে, মুসলিম নারীরা যাই পরবে তাতে তাদের সমালোচনার মুখে পড়তে হবে। নারীবাদ সারা বিশ্বের নারীদের রক্ষার জন্য বিশ্বজনীন হওয়া প্রয়োজন।
অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় এ ঘটনা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে টুইটার বার্তায় বলেছে, ক্যাম্পাসে এমন অনুষ্ঠান হচ্ছে তার অর্থ এ নয় যে, এর প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে। এটা শিক্ষার্থীদের ইভেন্ট। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৬
এমএ/