ইউরোপের অভিবাসী মুসলমানরা দেশগুলোর মধ্যে পৃথক জাতিসত্তা গড়ে তুলছে বলে পশ্চিমাদের সতর্ক করে দিয়েছেন ব্রিটেনের একটি বহুজাতীয় প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান। মুসলমানদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে আগে তাদেরকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
ব্রিটেনের সমতা ও মানবাধিকার কমিশনের সাবেক প্রধান টেভর ফিলিপস বলেন, আমরা ধারণা করেছিলাম মুসলমানরা ইউরোপে এসে পশ্চিমা সমাজের সাথে একাত্ম হবে ও আমাদের মূল্যবোধকে গ্রহণ করবে। কিন্তু এ ধারণা ভুল ছিল। তারা এর ধারেকাছে নেই।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় আমি ভাবতাম যে, মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পেশাক ত্যাগসহ পূর্বপুরুষের পন্থা ত্যাগ করে ব্রিটেনের জাতিসত্তায় মিশে যাবে’। এ জন্য অভিবাসন নীতি শিথিল করা ভুল হবে বলে মনে করেন তিনি।
ফিলিপসের মতে, কিছু ক্ষেত্রে ইসলামের অনুসারীরা সমাজের অন্য অংশ থেকে পৃথক মূল্যবোধ ধারণ করে ও অনেকেই পৃথক জীবনযাপন করতে চায়।
সম্প্রতি এক জরিপে মুসলমানদের কিছু সাংস্কৃতিক চিত্র ফুটে উঠেছে। এতে দেখা যায়, প্রতি পাঁচজনে একজন ব্রিটিশ মুসলিম অমুসলিমদের বাড়িতে প্রবেশ করতে চায় না, শতকার ৪০ শতাংশ মনে করে নারীদের সর্বদা স্বামীকে মান্য করা উচিত, প্রায় এক তৃতীয়াংশ মনে করে তাদের একাধিক স্ত্রী রাখার অধিকার রয়েছে, বড় একটি অংশ সমকামিতাকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে, প্রায় এক চতুর্থাংশ ইসলামি আইন মেনে চলতে চায় ইত্যাদি।
বেলজিয়ামও এখন তার মিশ্র সংস্কৃতি নীতি নিয়ে পর্যালোচনা করছে। তাদের মতে, এই নীতির ফলে সেখানে মুসলিমদের পৃথক এলাকা গড়ে উঠেছে। আর এভাবেই ইউরোপের জনজীবনের মূলধারার সঙ্গে মিশে যেতে চলেছে মুসলমানরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
এমএ/