পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষামতে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বিস্তার লাভকারী ধর্ম ইসলাম। ওই সমীক্ষা মতে, ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীদের সংখ্যা ২০৫০ সাল নাগাদ গিয়ে দাঁড়াবে ২৭৬ কোটিতে।
প্রকাশিত গবেষণায় দাবী করা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে মুসলমান এবং খ্রিস্টানদের মধ্যে একটা সমতা বজায় থাকবে। খ্রিস্টানদের সংখ্যা বাড়লেও মুসলমানদের হারে বাড়বে না। মুসলমানদের সংখ্যা হবে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন যা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ এবং খ্রিস্টানদের সংখ্যা ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন (মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ) গিয়ে দাঁড়াবে।
যদি এই ধারা চলতে থাকে তাহলে ২০৭০ সালের পর বিশ্বে ইসলামই বেশি জনপ্রিয় ধর্ম হবে। ২০৫০ সালে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ হবে মুসলিম যা ২০০৯ সালে ছিল ৫ দশমিক শতাংশ। অর্থাৎ ২০৫০ সালে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের বেশি হয় মুসলমান কিংবা খ্রিস্টান হবে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষার কিছু বাস্তবতা উঠে আসল বেলজিয়ামের বিচারমন্ত্রীর কন্ঠে। বেলজিয়ামের বিচারমন্ত্রী দাবি করেছেন, ইউরোপে খুব শীঘ্রই সংখ্যার দিকে দিয়ে ধর্মপরায়ণ খিস্টানদেরকে ছাড়িয়ে যাবে ধর্মপরায়ণ মুসলিমরা। এ নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নেতারা বেশ চিন্তিত।
সংখ্যার তারতম্যের কারণ নির্দেশ করতে গিয়ে বিচারমন্ত্রী কোয়েন গিনস বলেন, এর কারণ, খ্রিস্টানরা সাধারণত কম ধর্মপরায়ণ। এর কারণ এটা নয় যে, ইউরোপে খুব বেশি মুসলিম রয়েছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ন্যায়বিচার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক কমিটির এক সভায় তিনি বলেন, ‘ইউরোপ এই বাস্তবতা বুঝতে পারছে না। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। ’
কিন্তু বেলজিয়ামের উপপ্রধানমন্ত্রী জান জামবোন পার্লামেন্ট সদস্যদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘সবচেয়ে বাজে কাজ হবে মুসলিমদেরকে শত্রু মনে করা। তাদেরকে শত্রু মনে করলে, আমাদের সমস্যা বাড়বে বই কমবে না’।
গত মাসে ব্রাসেলসে কথিত ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের সন্ত্রাসী হামলার পর এক শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
-ডেইলি সাবাহ ও মেইল অনলাইন অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৬
এমএ/