ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনের মেয়র নির্বাচনে প্রথমবারের মতো লড়ছেন কোনো মুসলিম প্রার্থী। নির্বাচনী প্রচারণায় ধর্মীয় এবং বর্ণবাদের অভিযোগ সত্ত্বেও লন্ডনের প্রথম মুসলিম এবং এশিয়ান মেয়র হিসেবে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খানের নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে বিরোধী দল লেবার পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাদিক খান। বিজয়ী হলে ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশের রাজধানীর প্রথম মুসলিম মেয়র হবেন বাস ড্রাইভারের পুত্র সাদিক খান।
সাধারণ মুসলিম পরিবারে বেড়ে ওঠা মানবাধিকার আইনজীবী সাদিক খান দক্ষিণ লন্ডনের টুটিং আসনের এমপি। বিগত লেবার সরকারের আমলে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
সাদিক খানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী জ্যাক গোল্ডস্মিথ। অভিজাত গোল্ডস্মিথ পরিবারের উত্তরাধিকারী ধনকুবের জ্যাক লন্ডনের রিচমন্ড পার্ক আসনের এমপি।
লন্ডনের আবাসন, যাতায়াত ভাড়া এবং পরিবেশ রক্ষা এবার প্রার্থীদের প্রধান বিতর্কের বিষয়। তবে ইসলাম ধর্মাবলম্বী সাদিক খানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিতর্কে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।
সাদিক খানকে একজন উগ্রপন্থী আখ্যায়িত করে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি বলছে, তার হাতে লন্ডন কখনও নিরাপদ হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পার্লামেন্টে বলেছেন, সাদিক খান উগ্রবাদীদের সঙ্গে এক মঞ্চে বক্তৃতা করেছেন।
কনজারভেটিভ দলের এমন আচরণের জবাবে ৪৫ বছর বছর বয়সী সাদিক খান বলছেন, ‘এটা যুক্তরাষ্ট্র নয়, লন্ডন। এই শহরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি মানুষ গ্রহণ করবে না। ’
মেয়র নির্বাচনে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তবে মূল লড়াই হবে গোল্ডস্মিথ ও সাদিক খানের মধ্যেই।
মজার বিষয় হচ্ছে, জ্যাক গোল্ডস্মিথ পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার এবং বর্তমানে রাজনীতিক ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথের ভাই।
সর্বশেষ পরিচালিত দু’টি জরিপে সাদিক খান ২০ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৬
এমএ/