এখন থেকে সৌদি আরবের চারটি বিখ্যাত মসজিদে পরিদর্শন করার সুযোগ পাচ্ছেন অমুসলিম পর্যটকরা। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
অমুসলিমরা সৌদি আরবের যে চারটি মসজিদে যেতে পারবে সেগুলো হলো- আর রাহমা, আত তাকওয়া, কিং ফাহাদ ও কিং সৌদ মসজিদ। এই চারটি মসজিদই জেদ্দা নগরীতে অবস্থিত। স্থাপত্য শৈল্পীর কারণে এ মসজিদগুলোর খ্যাতি রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী আর রাহমা মসজিদটি বরাবরই বিদেশি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। জেদ্দা সফরের সময় প্রায় সবাই এই মসজিদটি পরিদর্শন করে থাকেন। লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত মসজিদটি স্থাপত্য শিল্পের অপূর্ব নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শুধু কি স্থাপত্য শিল্প? এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অসাধারণ। সাগরের তীরে অবস্থিত মসজিদটিকে দেখতে দ্বীপের মত লাগে। এ কারণে অনেকে একে ভাসমান মসজিদ হিসেবেও উল্লেখ করে থাকেন। যদিও এটি সাগরে ভাসমান নয়। তবে এর কিছু স্তম্ভ সাগরের তলদেশ থেকে নির্মিত হয়েছে।
আত তাকওয়া মসজিদটি নির্মিত হয়েছে ২০০৫ সালে। এর অবস্থান জেদ্দার উত্তরে। সাড়ে সাতশ’ বর্গমিটারের এই মসজিদটিতে একসঙ্গে ৪শ’র বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
জেদ্দার কিং ফাহাদ মসজিদটি মরক্কো স্থাপত্যকলার এক অপূর্ব নিদর্শন। বিশেষ করে এর টালির কাজ। মুর স্থাপত্যশৈলীর আদলে এতে নির্মিত হয়েছে ত্রিকোণাকৃতির গম্বুজ ও খিলান। এ কারণেই সৌদি আরবের অন্যান্য মসজিদের সঙ্গে এর মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।
জেদ্দার সবচেয়ে বড় মসজিদ হচ্ছে কিং সৌদ মসজিদ। মোট ৯৭০০ বর্গমিটার এলাকা নিয়ে এর অবস্থান। সুবৃহৎ এ মসজিদের গম্বুজটিও বেশ বড়। এর ব্যাস ২০ মিটার এবং উচ্চতা ৪২। মিনারের উচ্চতা ৬০ মিটার। মিসরের বিখ্যাত স্থপতি আবদেল ওয়াহেদ ওয়াকিল এর নকশা করা এ মসজিদটি নির্মিত হয় ১৯৮৭ সালে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৬
এমএ/