মালয়েশিয়ায় ইসলামি দণ্ডবিধি ব্যবস্থা চালুর জন্য দেশটির সংসদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন মালয়েশিয়ার প্রধান বিরোধী দল প্যান মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টির প্রেসিডেন্ট আবদুল হাদি আওয়াং।
এদিকে বিরোধী দলের আনা এ বিলে সমর্থন দিয়েছে মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (উমনো)।
আগামী অক্টোবরে বিলটি নিয়ে সংসদে বিতর্ক হতে পারে বলে খবরে বলা হয়েছে। এটি পাস হলে মালয়েশিয়ার বর্তমান শরিয়া আদালতের আর প্রয়োজন হবে না।
ইসলামি দণ্ডবিধিকে ইসলামের পরিভষায় ‘হুদুদ’ বলা হয়। প্রস্তাবিত আইনে রয়েছে হুদুদ।
মালয়েশিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের অন্য দলগুলো অবশ্য এই বিলের সমালোচনা করছেন। এতে মালয়েশিয়ার মতো বহুজাতিক দেশে তিক্ততা আরও বাড়তে পারে বলে বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে মালয়েশিয়ায়। তবে সমালোচনা থামাতে চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।
প্রধানমন্ত্রীর এ ভূমিকাকে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক আখ্যায়িত করেছে বিরোধীরা। সমালোচকরা বলছেন, দুর্নীতির অভিযোগে কোণঠাসা নাজিব শরিয়া আইনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন।
ইসলামি আইন হুদুদ আইন ব্যবহার করে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভোট নিশ্চিত করতে চাইছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এক সংবাদ সম্মেলনে সমালোচকদের জবাবে বলেন, কেবল কিছু অপরাধের শাস্তি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা শরিয়া আদালতে শুধু মুসলমানদের ওপর প্রয়োগ করা হবে। এ নিয়ে সমালোচকরা না বুঝে সমালোচনা করছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটির বেশিরভাগ রাজ্য শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করতে চাইলেও ফেডারেল আইনে তা সিদ্ধ নয়। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে হুদুদ বিলটি পাশ হবে না। কারণ, হুদুদ আইন পাস করে আইনে পরিণত করতে দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন দরকার। তা উমনোর নেতৃত্বাধীন জোটের নেই।
-সিএনএন অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৬
এমএ/