শুরু হয়েছে পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এবারের রোজা গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী।
কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালার সৃষ্টি রহস্য বুঝার সাধ্য মানুষের নেই। যেখানে গতকালের অাবহাওয়া ছিল প্রখর রোদ আর তীব্র গরম। আর আজ! সারাদিনই বৃষ্টি। এ যেন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশ্ববাসীর জন্য রমজানের উপহার।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর রোজাদারদের জন্য জানিয়েছেন আরও ‘সুসংবাদ’। তাপমাত্রা প্রশমিত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বস্তুত এসবই আল্লাহর কুদরতের নির্দশন। তার ইশারায় কঠিন প্রখর তাবদাহ নিমিষেই শীতল কোমল আরামদায়ক হয়ে গেছে। মহান পরওয়ারদেগার আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার অতি প্রিয় সৃষ্টি মানুষকে এভাবেই যুগে যুগে কতোই না নিদর্শন দেখিয়েছেন। তা এখনো অব্যাহত আছে। এসবে রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য মহা সংকেত শিক্ষার বিষয়।
মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। মানুষের রয়েছে বিবেক নামের এক অমূল্য সম্পদ। ফলে মানুষ ইচ্ছে তাই করতে পারে না। দেখুন, প্রতি বছর মাহে রমজান আসে আর যায়। এতেই কি শেষ? রমজান মানুষের জন্য কী বার্তা দিয়ে যাচ্ছে বার বার? শুধুই কি কিছু নিয়ম, কিছু রুটিন?
প্রতি ভোরে আরামের ঘুম ত্যাগ করে জাগ্রত হওয়া, কিছু খাওয়া, সারাদিন উপোস থাকা আর সন্ধ্যায় উদোর ভরে মুখরোচক দামি দামি খাবার খাওয়া। কেন আমরা ভাবি না, যা করছি তা ঠিক নয়। আমার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সব কিছুরই হিসাব দিতে হবে।
যে আল্লাহ তার অতি প্রিয় বান্দাদের কষ্টের কথা ভেবে (প্রখর তাপদাহে রোজা রাখা কষ্ট) রমজানের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও শীতল বাতাসের মাধ্যমে আরামদায়ক পরিবেশ উপহার দিতে পারেন, তিনি সব পারেন এবং পারবেন এটাই বাস্তব।
মানুষ যদি তার সামনে ঘটে যাওয়া এই নিদর্শণগুলো জীবনের পাথেয় হিসেবে রেখে গন্তব্যের দিকে ধাবিত হয়, তাহলেই মঙ্গল। আল্লাহ আমাদেরকে সত্য বুঝার ও অনুধাবন করার তওফিক দান করুন। আমিন।
লেখক: বাংলানিউজের পাঠক
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘন্টা, জুন ০৭, ২০১৬
এমএ/