উত্তরাঞ্চলের মধ্যে নীলফামারী জেলা সদরে দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। ‘সদর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ’ নামে উপজেলা চত্বরে অবস্থিত মসজিদটিতে একযোগে দেড় হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
সদর উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা শুরু করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাবেত আলী।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থপতি খালিকুজ্জামান বিপ্লবের নকশাঁয় ২০১৪ সালের ২৭ মে মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর। ৮০ ভাগ কাজ শেষে দুই বছর পর চলতি বছরের ২৭ মে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত মসজিদটিতে ব্যয় হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। পুরোপুরি নির্মাণ কাজ শেষ করতে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হতে পারে। মসজিদটি নির্মাণে বুয়েটের বিশেষজ্ঞসহ পরামর্শকদের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ছয়মাসের মধ্যে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
নীলফামারী জেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রশিদ মঞ্জু জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাবেত আলীর উদ্যোগ ও উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্তে নীলফামারী সদরে আধুনিক মানের দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি নির্মিত হচ্ছে।
সদর উপজেলার চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সহযোগিতা করেছেন মসজিদটিতে। বাঁশ থেকে শুরু করে নির্মাণ কাজে সরাসরি অংশ নিয়ে সহযোগিতা করছেন সবাই।
নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও বিশিষ্ট ঠিকাদার প্রকৌশলী সফিকুল আলম ডাবলু জানান, কম খরচে উন্নত মানের একটি মসজিদ তৈরি হচ্ছে জেলা শহরে। সদর ইউএনও চাকুরির সুবাদে বিভিন্ন ভ্রমণকালে অভিজ্ঞতার আলোকে সদরে মসজিদ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। তিনি মনে করেন, মসজিদ তো অনেক হয়- কিন্তু আধুনিক মানের দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নেই নীলফামারীতে। সদর উপজেলা মসজিদটি একটি দৃষ্টি নন্দন মসজিদ হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে।
মসজিদ নির্মাণের উদ্যোক্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাবেত আলী জানান, মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় দেড় হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এ ছাড়া ধর্মীয় জ্ঞান চর্চার জন্য সেখানে একটি পাঠাগার থাকবে।
তিনি জানান, উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদটি ব্যতিক্রম একটি মসজিদ হতে যাচ্ছে। রেহেল আকৃতির এই মসজিদটি শুধু নামাজ আদায়ের জন্যই নয় বিশেষ স্থাপনা হিসেবে জায়গা করে নিবে মানুষের মনে। পর্যটকরা দেখতে আসবেন মসজিদটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘন্টা, জুন ১৬, ২০১৬
এমএইউ/