সউদি আরবের পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারামে এ বছর ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতিকাফ করছেন। তারা রমজানের শেষ দশকে মসজিদে একান্তে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থেকে শবেকদরও পালন করেছেন।
শবেকদরে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে কারিম নাজিল করেছেন। আর শবেকদর কোন রাত তা মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে প্রকাশ করা হলেও পরে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়। এখন রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে ইবাদত করে শবেকদরের ফজিলত হাসিলের চেষ্টা করেন মুমিন-মুসলিমরা।
কোরআনে কারিমে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অর্থাৎ যিনি এ রাতে আল্লাহর ইবাদতে কাটাবেন তিনি হাজার মাস ইবাদত করে কোনো ব্যক্তি যে সওয়াবের অধিকারী হন- তার চেয়েও বেশি সওয়াব লাভ করবেন।
চলতি রমজানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে ইতিকাফে মশগুল। এমতাবস্থায় যার ইবাদত কবুল হবে, নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, তিনি নিষ্পাপ হয়ে যাবেন।
সেই পূণ্যবানদের দলে নাম লেখাতে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীতে ইতিকাফে বসেছেন হাজারো মানুষ। হাদিসে আছে, মক্কা মোয়াজ্জমার কাবা শরিফে ইতিকাফ করলে সওয়াব অনেক বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৬
এমএইউ/