মানবজীবনের চরম সত্য ও বাস্তবতা হলো মৃত্যু। মারা যাওয়ার পর প্রতিটি মানুষেরই নিজ নিজ ধর্ম অনুসারে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
জানাজার নামাজ ফরজে কেফায়া। অর্থাৎ কিছু লোক তা আদায় করলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। তবে কেউই আদায় না করলে সবাই গোনাহগার হবে।
আমাদের সমাজের অনেক মানুষের ধারণা, জানাজার নামাজের কাতার বেজোড় হওয়া জরুরি। ফলে তারা জানাজার নামাজের কাতার জোড় সংখ্যা হলে তা বেজোড় করে দেন। বস্তুত তাদের এমন ধারণা ও কাজ ঠিক নয়।
এ বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত মালেক ইবনে হুবায়রা (রা.) যখন দেখতেন জানাজায় উপস্থিতির সংখ্যা কম তখন তিনি তাদেরকে তিন কাতারে ভাগ করে দিতেন এবং বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে মৃতের ওপর তিন কাতার মুসল্লি জানাজা পড়বে তার জন্য (জান্নাত) অবধারিত। ’ -জামে তিরমিজি, হাদিস: ১০২৮; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩১৬৬
বর্ণিত হাদিসের ভিত্তিতে ইসলামি চিন্তাবিদরা বলেছেন, জানাজার নামাজে মুসল্লির খ্যা কম হলে তাদেরকে তিন কাতারে বিভক্ত করে দাঁড় করানো উত্তম। -শরহুল মুনইয়াহ: ৫৮৮; হালবাতুল মুজাল্লি: ২/৬১৩; ফাতহুল বারি: ৩/২২২; রওজাতুত্তালেবিন: ২/১৩১
এ থেকে হয়তো কেউ কেউ বুঝেছেন এর দ্বারা বেজোড় উদ্দেশ্য। আসলে এ দ্বারা জানাজার নামাজে তিন কাতারের কম না করা এবং অন্তত তিন কাতার করা যে মোস্তাহাব তা প্রমাণিত হয়। কিন্তু কাতার তিনের অধিক হলে বেজোড় করা জরুরি- এ কথা প্রমাণিত হয় না। তাই তিনের অধিক কাতারের ক্ষেত্রে বেজোড়ের প্রতি লক্ষ রাখা জরুরি নয়।
মুসল্লি সংখ্যা বেশি হলে তিন বা তিনের অধিক জোড় বা বেজোড় যত প্রয়োজন কাতার করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৬
এমএইউ/