ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

সিঙ্গাপুরে গড়ে উঠছে স্বতন্ত্র ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
সিঙ্গাপুরে গড়ে উঠছে স্বতন্ত্র ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর একটি ক্ষুদ্র ও ব্যাপকভাবে নগরায়িত দ্বীপরাষ্ট্র। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে মালয় উপদ্বীপের দক্ষিণতম প্রান্তে, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝখানে অবস্থিত।

সিঙ্গাপুরের স্থলভূমির মোট আয়তন ৬৯৯ বর্গকিলোমিটার।

সিঙ্গাপুরে মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ মুসলমান। পুরো সিঙ্গাপুরে ৭০টির মতো মসজিদ রয়েছে। তন্মধ্যে সুলতান মসজিদকে বিবেচনা করা হয় সিঙ্গাপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ হিসেবে। মসজিদটি নির্মাণ হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। অর্থাৎ যেভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল এর মূল ডিজাইনে কোনো ধরনের মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়নি। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৮২৪ সালে এবং শেষ হয় ১৮২৬ সালে।

সিঙ্গাপুরের উল্লেখযোগ্য আরও কয়েকটি মসজিদ হলো- সেরাঙ্গুনের আঙ্গুলিয়া মসজিদ, তেবান গার্ডেনের হাসানা মসজিদ, তামাং জুড়ংয়ের আশিকিরিন মসজিদ, অ্যাডমিরাল টির আসসাইয়াফা মসজিদ, কমনওয়েলথ এভিনিউ ওয়েস্টের দারুস সালাম মসজিদ, জালান ইউনূসের দারুল আমান মসজিদ, গেলাংয়ের হাজী মোহাম্মদ সালেহ মসজিদ ও খাদিজা মসজিদ।

সিঙ্গাপুরকে বলা হয় বহু সংস্কৃতির দেশ। সেখানে ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ও শান্তির ধর্ম ইসলাম বিষয়ে শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি স্বতন্ত্র ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশটির একটি ইসলামি সংগঠন।

সিঙ্গাপুর মুসলিম সংস্থা নামক ওই সংগঠনের সভাপতি ইয়াকুব ইবরাহিম শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণায় তিনি বলেন, মনোযোগপূর্বক ইসলাম অধ্যয়ন বাস্তবায়নের জন্য এই ছোট্ট দেশে একটি স্বতন্ত্র ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ইয়াকুব ইবরাহিম আশা প্রকাশ করেন, মুসলমানেরা যেভাবে সিঙ্গাপুর ইসলামি কাউন্সিল (Muis) কল্যাণমূলক কাজ, ইসলামি সংগঠন, ইসলামি বিদ্যালয় নির্মাণ ও প্রসারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে; ঠিক সেভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করবে।

তিনি বলেন, ইসলামিক স্কুলের যে সব শিক্ষার্থী ইসলাম বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করতে চায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের মধ্যপ্রাচ্যের দেশে ভর্তি হয়। এমতাবস্থায় আমাদের দেশে একটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে আমাদের শিক্ষার্থীদের আমরাই ভালোভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যপ্রাচ্যের উল্লেখযোগ্য ও জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিষয় পড়ানো হয়, সেগুলোই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম হিসেবে নির্ধারণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet