নাইজেরিয়ার একটি আদালত দেশটিতে নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব পরার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এর ফলে লাগোস (Lagos) রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলোতে এখন থেকে ইচ্ছুক মুসলিম শিক্ষার্থীরা হিজাব পরতে পারবে।
আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে নাইজেরিয়ায় মুসলিম রাইটস কনসার্ণ গ্রুপ- মুরিক (The Muslim Rights Concern- MRC)। তারা আদালতের এই রায়কে আইনের শাসনের জয় বলে অভিহিত করেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০১৩ সালে নাইজেরিয়াতে মুসলিম মেয়েদের স্কুলে হিজাব পরার প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে আপিল করে মুসলিম শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। দীর্ঘ শুনানি শেষে দেশটির কোর্ট অব আপিল সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেয়।
নাইজেরিয়ায় মুসলিম রাইটস কনসার্ন গ্রুপ এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, এ রায়ের ফলে চার বিভাগের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে।
এক বিবৃতিতে মুরিক নেতারা বলেছে, আলোচিত এই মামলার বিচারক প্যানেলে পাঁচজন বিচারকের মধ্যে দু’জন ছিলেন মুসলমান। তবে সর্বসম্মতিক্রমে বিচারকরা এই ঐতিহাসিক রায়টি প্রদান করেছেন। এ রায়ের ফলে কেবল মুসলিম নারী শিক্ষার্থীই নয়, দেশের সব মুসলিম নারীদের হিজাব পরার প্রতি বৈধতা তৈরি হয়েছে।
নাইজেরিয়ার ইসলাম বিষয়ক সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আলহাজ আবুবকরও আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মুসলিমরা কাউকে হিজাব পরতে বাধ্য করছে না। কিন্তু যারা হিজাব পরতে চায় তাদের যেন এটা পরতে দেওয়া হয়।
সংখ্যাগত দিক থেকে আফ্রিকার সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ নাইজেরিয়া পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। রাজধানীর নাম আবুজা। তেল সমৃদ্ধ নাইজেরিয়া আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ। এর পশ্চিমে বেনিন, পূর্বে চাদ ও ক্যামেরুন, উত্তরে নাইজার এবং দক্ষিণে গিনি উপসাগর অবস্থিত।
নাইজেরিয়া ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর তারিখে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ৩৬টি রাজ্য নিয়ে নাইজেরিয়া গঠিত। নাইজেরিয়ায় প্রায় ৮ কোটি মুসলমান রয়েছে। যা নাইজেরিয়ার মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ।
-বিবিসি অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৬
এমএইউ/