পবিত্র কোরআনের ৬২ নম্বর সূরার নাম সূরা আল জুমুআ। এর আয়াত সংখ্যা ১১।
এ সূরার ৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যাদেরকে তওরাত দেওয়া হয়েছিল, অতঃপর তারা তার অনুসরণ করেনি, তাদের দৃষ্টান্ত সেই গাধা, যে পুস্তক বহন করে, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে, তাদের দৃষ্টান্ত কতো নিকৃষ্ট। আল্লাহ অত্যাচারী সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না। ’
৬ ও ৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘বলুন, হে ইহুদিগণ! যদি তোমরা দাবি করো যে, তোমরাই আল্লাহর বন্ধু-অন্য কোনো মানব নয়, তবে তোমরা মৃত্যু কামনা করো যদি তোমরা সত্যবাদী হও। ’ ‘তারা নিজেদের কৃতকর্মের কারণে কখনো মৃত্যু কামনা করবে না। আল্লাহতায়ালা অত্যাচারীদের সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। ’
সূরা জুমুআর ৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘বলুন, তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়নপর, সেই মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখামুখি হবে, অতঃপর তোমরা অদৃশ্য, দৃশ্যের জ্ঞানী আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন সেসব কর্ম, যা তোমরা করতে। ’
বর্ণিত আয়াতে আল্লাহতায়ালা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, মৃত্যু থেকে বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই। এমনকি শেষ বিচারও অবশ্যই হবে।
সম্প্রতি হেফজুল কোরআনের এক প্রতিযোগিতায় এক খুদে কারি সূরা জুমুআর এ আয়াতগুলো তেলাওয়াত করার অঝোরে কেঁদে উঠেন। তার এমন ক্রন্দনের ফলে প্রতিযোগিতা স্থলে এক অভাবনীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ওই কোরআন প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি ওই প্রতিযোগীর কোরআন তেলাওয়াতের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট্ট ছেলেটি সূরা জুমাআর ৮ নম্বর আয়াতটি তেলাওয়াতের সময় অঝোরে কাঁদছেন, কান্নার জন্য কিছু সময়ের জন্য তিনি নিশ্চুপ থাকেন। তার কাঁদার দৃশ্য দেশে প্রতিযোগিতার বিচারকদেরও চোখ মুছতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৬
এমএইউ/