সিরিয়ার এক ক্যালিওগ্রাফার দীর্ঘ পরিশ্রম ও সাধনা করে স্বর্ণমিশ্রিত সোনালী সুতো দিয়ে পবিত্র কোরআনের আয়াত সেলাই করে করে এক খণ্ড কোরআন লেখার কাজ সম্পন্ন করেছেন। তবে স্বর্ণের সুতো দিয়ে লেখা কোরআন শরিফের পাণ্ডুলিপিটি ক্রয় করার জন্য ২০ লাখ মার্কিন ডলার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি তা বিক্রি করতে রাজি হননি।
তবে তিনি আশাবাদী, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর তিনি যে কোরআন শরিফটি লেখা শেষ করেছেন, তা যেনো দর্শনার্থীদের পরিদর্শনের জন্য কোনো বিখ্যাত জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকে। এ ক্ষেত্রে তার পছন্দ তুরস্কের বিখ্যাত তোপ কাপে জাদুঘর।
আলোচিত এই শিল্পীর নাম মাহের আল হাজারি। তিনি যুদ্ধের কারণে সিরিয়ার আলেপ্পা থেকে চলে এসে এখন তুরস্কের ব্রসা শহরে বসবাস করছেন।
ইসলাম অনলাইন জানিয়েছে, সিরিয়ার ক্যালিওগ্রাফার মাহের স্বর্ণমিশ্রিত সুতো দিয়ে যে পবিত্র কোরআনটি লিখে শেষ করেছেন, সেটি ইস্তাম্বুল ইন্টারন্যাশনাল গ্রন্থমেলায় প্রদর্শন করা হয়। সেখানে অনেক গ্রাহক এই অনন্য ও অসাধারণ কোরআনটি ক্রয় করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
এ সম্পর্কে ক্যালিওগ্রাফার মাহের আল হাজারি বলেন, আমি এই কোরআন শরিফটি বিক্রয় করবো না। কারণ, আর্থিক সুবিধার পাওয়ার জন্য আমি কোরআন শরিফের পেছনে সময় ব্যয় করিনি।
কোরআন শরিফের এই পাণ্ডুলিপিটি লেখতে মাহেরের সময় লেগেছে ৪ বছর এবং তা বিন্যাসেও সময় লেগেছে ৪ বছর।
মাহের হাজারি পবিত্র কোরআনের ৩০ পারাকে মোট ১২ খণ্ডে ভাগ করেছেন। প্রতি খণ্ডে আড়াই পারা করে। প্রতি খণ্ডের ওজন ১৫ কিলোগ্রাম এবং মোড়কসহ পুরো কোরআনের ওজন ২০০ কিলোগ্রাম। কোরআনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, প্রত্যেকটি পৃষ্ঠা লেখা শুরু করা হয়েছে নতুন আয়াত দিয়ে।
পেশায় দর্জি মাহের হাজারি কোরআন শরিফ ছাড়াও সেলাই করে অনেক ধর্মীয় গ্রন্থ লিখেছেন। কাজ করেছেন কোরআনের আয়াতের সম্বলিত বিভিন্ন শোপিশ, ওয়ালম্যাট ইত্যাদির কাজও করেছেন।
কোরআন শরিফের কপিটি স্থানীয় আলেমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্ভুল বলে মত দেওয়ার পর তা প্রদর্শন করার সিদ্ধান্ত নেন মাহের।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৬
এমএইউ/