‘শ্রেষ্ঠ মসজিদ স্থাপত্য’ শিরোনামে শ্রেষ্ঠ মসজিদ বাছাইয়ের জন্য একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় ইতোমধ্যেই পারস্য উপসাগরীয় দেশসমূহের ১২২টি মসজিদ স্থান পেয়েছে।
শ্রেষ্ঠ মসজিদ স্থাপত্য প্রতিযোগিতার সচিব ইবরাহিম আল নায়িমি এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাইয়ে এ পর্যন্ত সৌদি আরবের ৭১টি মসজিদ, আরব আমিরাতের ১৫টি মসজিদ, বাহরাইনের ১১টি মসজিদ, আম্মানের ১৪টি মসজিদ, কাতারের ৮টি মসজিদ এবং কুয়েতের ৩টি মসজিদ মনোনীত হয়েছে। প্রাথমিক তালিকায় এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের সর্বাধিক মসজিদ রয়েছে।
শ্রেষ্ঠ মসজিদ স্থাপত্য প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ মসজিদটি পাবে ‘আবদুল লতিফ ফাউজান পুরস্কার’ ও ২০ লাখ সৌদি রিয়াল।
আল নায়িমি আরও বলেন, খ্যাতিমান স্থপতিবিদ, ইতিহাস গবেষকরা এ প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে রয়েছেন। বিচারকরা মসজিদ নির্মাণের ইতিহাস, মসজিদ নির্মাণ পদ্ধতি, ডিজাইন ও স্থাপত্য দর্শনের আলোকে চূড়ান্ত বাছাই করবেন।
প্রতিযোগিতার বিচারকরা ইতোমধ্যে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এক বৈঠকেও মিলিত হয়েছেন। ওই বৈঠকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া মসজিদসমূহের স্থাপত্য ইতিহাস ও শিল্প বিষয়ে মূল্যায়ন করে প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। ওই তালিকায় ১২২টি মসজিদ স্থান পেয়েছে।
শ্রেষ্ঠ মসজিদ স্থাপত্য প্রতিযোগিতাটি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। ২০১৪ সালে এটি প্রথম অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি আরবের ধনকুবের শায়খ আবদুল লতিফ ফউজান এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্যোক্তা। তার নামেই শ্রেষ্ঠ মসজিদ স্থাপত্য প্রতিযোগিতায় ‘আবদুল লতিফ ফাউজান পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হয়েছে।
আবদুল লতিফ ফাউজান সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চল আল খাবার শহরের বাসিন্দা। মসজিদ শিল্পকে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
প্রতিযোগিতাটি চারটি বিভাগে হবে। এগুলো হলো- কেন্দ্রীয় মসজিদ, জুমার মসজিদ, স্থানীয় মসজিদ এবং ঐতিহাসিক মসজিদ।
এবারের প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২০১৭ সালের প্রথম দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৬
এমএইউ/