বিচ ভলিবল খেলায় তথাকথিত পোশাকের ধারণা ভেঙে দিলেন মিসরের দয়া আল গোবাসি (Doaa El ghobashy) । চলতি রিও অলিম্পিক আসরে তিনি মাথায় হিজাব ও লম্বা পাজামা পরে বিচ ভলিবল খেলতে নামেন।
তার সঙ্গী খেলোয়াড় নাদা মিয়াওয়াদ (Nada Meawad) হিজাব না পরলেও লম্বা পাজামা আর লেগিংস পরেন।
আর জার্মান মেয়েরা খেলতে নামেন চিরাচরিত স্বল্প বসনায়। কোপাকাবানা (Copacabana) সমুদ্র সৈকতে খেলা দেখতে আসা প্রায় ১২ হাজার দর্শক আল গোবাসির সমর্থনে- মিসর-মিসর বলে ধ্বনি দিতে থাকে।
৪০ মিনিটের খেলায় জার্মানির কাছে হারলেও আল গোবাসি মিসরের হয়ে প্রথমবারের অলিম্পিক বিচ ভলিবলে অংশ নিতে বেশ আনন্দিত।
এর আগে আন্তর্জাতিক ভলিবল ফেডারেশন খেলার পোশাকের নির্দিষ্ট মানদণ্ড ঠিক করে দিয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে নির্দিষ্ট পোশাক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়। ফলে মেয়েদের লম্বা পাজামা ও লেগিংস পরে খেলতে নামার ক্ষেত্রে কোনো বাধা ছিল না।
নিয়ম শিথিল হওয়ার ফলে নিজস্ব সংস্কৃতি অনুসারে পোশাক পরতে পারছেন ভলিবল খেলোয়াড়েরা। এ কারণে অনেক মুসলিম দেশের মেয়েরা হিজাব ও ধর্মীয় পোশাক পরেই অলিম্পিকে অংশ নিতে পারছেন।
খেলা শেষে ১৯ বছর বয়সী আল গোবাসি বলেন, দশ বছর ধরে আমি হিজাব পরছি। হিজাব পরার কারণে আমি যা পছন্দ করি তা থেকে দূরে থাকতে হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে বিচ ভলিবলও। মিয়াওয়াদ ও আল গোবাসি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেই অলিম্পিকে সুযোগ পেয়েছেন।
ভলিবল ফেডারেশনের মুখপাত্র রিচার্ড বেকার জানান, খেলোয়াড়দের সাংস্কৃতিভাবে উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্যই পোশাকের নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে ১৯২০ সালে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় বীচ ভলিবল খেলার উৎপত্তি। বিচ ভলিবল শুধু অলিম্পিক আসরে নয় সব সময়ই একটি জনপ্রিয় খেলা। যদিও এ খেলায় পোশাক ও স্থান নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৬
এমএইউ/