ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

থাইল্যান্ডের প্রথম হালাল হোটেল নজর কেড়েছে পর্যটকদের

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৬
থাইল্যান্ডের প্রথম হালাল হোটেল নজর কেড়েছে পর্যটকদের

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের জনসংখ্যার অধিকাংশই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তথাপি মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হালাল ব্যবসার দিকে মনোযোগী হচ্ছে দেশটি।

এ লক্ষ্যে রাজধানী ব্যাংককে গত বছরের নভেম্বরে উদ্বোধন করা হয়েছে চার তারকা মানের হালাল হোটেল ‘আল মেরোজ (Al Meroz)। ’

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও দেশটিতে পর্যটক আগমন বেড়েছে। পর্যটক টানতে দেশগুলোর মধ্যেও বেড়েছে প্রতিযোগিতা। এরই ধারাবাহিকতায় থাইল্যান্ডে হালাল হোটেলের প্রচলন। ফলাফলও আশাতীত। এশিয়ার অন্যতম ঐতিহ্যসমৃদ্ধ দেশটি গত বছর প্রায় তিন কোটি মুসলিম পর্যটক টেনেছে। এর মধ্যে শুধু মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছে ছয় লাখ ৫৮ হাজার।

হালাল হোটেলের জিএম সানিয়া সেইঙ্গবুন বলেন, ‘বিশ্বে এক কোটি ৬০ লাখ মুসলিম রয়েছে। এ বাজারটি অনেক বিশাল। এর ১ শতাংশও যদি আমরা ধরতে পারি তবে সেটি আমাদের পর্যটনশিল্পকে শক্তিশালী করবে। ’

সেইঙ্গবুন জানান, গত বছর নির্মিত এ হোটেলে নারী-পুরুষের জন্য দু’টি নামাজের জায়গা আছে, সেই সঙ্গে তিনটি হালাল ডাইনিং হল।

হোটেলে অবস্থানরত অস্ট্রেলীয় পর্যটক আমির ফজল বলেন, থাইল্যান্ডে এ হোটেল মুসলিম পর্যটকদের জন্য অনেক সুবিধাজনক। বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়ার জন্য। কারণ পুরো ব্যাংকক খুঁজে হালাল খাবার পাওয়া অনেক কঠিন। তিনি বলেন, ‘এখানে এটাই প্রথম হালাল হোটেল এবং আমি এটি খুঁজে পাওয়ায় দারুণ আনন্দিত। ’

হালাল হোটেল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মুসলিম পর্যটক টানতে গত বছর থাইল্যান্ড একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ছেড়েছে। এর মাধ্যমে মুসলমানরা হালাল খাবার-দাবার বা থাকার জায়গার সন্ধান করতে পারবে।

থাইল্যান্ডের প্রতিবেশি দেশ মালয়েশিয়াসহ এশিয়ার অনেক দেশ থেকেই পর্যটক গমন করে দেশটিতে। যাদের বেশির ভাগই মুসলিম। সেসব পর্যটক আরো টানতে তাই নানামুখী পরিকল্পনা নিচ্ছে থাইল্যান্ড। দেশটির পর্যটন সংস্থা জানায়, গত বছর মধ্যপ্রাচ্য থেকে পর্যটক আগমন বেড়েছে ১৫ শতাংশ।

থাইল্যান্ডে প্রায় সাত কোটি জনসংখ্যার প্রতি ২০ জনের একজন মুসলমান। দেশটিতে ৯৫ লাখের বেশি মুসলমান রয়েছে। মুসলিমরা থাইল্যান্ডের বৃহত্তম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে থাইল্যান্ডে ইসলামের বিস্তার ঘটে।

বেশ কিছু প্রাচীন মসজিদসহ থাইল্যান্ডে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মসজিদ রয়েছে। মজার বিষয় হলো, থাইল্যান্ডের মসজিদগুলোও পর্যটকদের টানে। অন ইসলামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডে বেড়াতে যাওয়া প্রায় ১০ শতাংশ পর্যটক ঐতিহাসিক মসজিদগুলো দেখতে যান। ফলে ওই সব মসজিদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে খাবার ও হালকা শখের জিনিস বেচাকেনার দোকান।

-রয়টার্স অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।