ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

কানাডার প্রথম হিজাবি টিভি উপস্থাপক

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
কানাডার প্রথম হিজাবি টিভি উপস্থাপক কানাডার প্রথম হিজাবি টিভি উপস্থাপক জিনেলা মাসা

কানাডার মাটিতে হিজাব মাথায় টেলিভিশনে অনুষ্ঠান সঞ্চালনাকারী নারী সাংবাদিকের নাম জিনেলা মাসা। হিজাব মাথায় অনুষ্ঠান উপস্থাপনের সুযোগ পেয়ে ২৯ বছর বয়সী ওই নারী ভীষণ খুশি। তিনি এ কথা টুইটারে জানিয়েছেন নিজেই।

বিভিন্ন পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে দাবী করা হয়, কানাডায় বসবাসরত মুসলমানদের সংখ্যা ১৫ লাখের বেশি। যা কানাডার মোট জনসংখ্যার শতকরা ৫.২ ভাগ।

অবশ্য সম্প্রতি বছরগুলোতে তাদের সংখ্যা আরও বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, আগামী ২০৩০ সালে দেশটিতে মুসলমানদের সংখ্যা বেড়ে ৩০ লাখে দাঁড়াবে।

কানাডায় কোনো সাম্প্রদায়িক হানাহানি নেই। সেখানে কোনো ধর্মকে খাটো করে দেখা হয় না। সেই কানাডার একটি বেসরকারি টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো হিজাবধারী এক মুসলিম নারীকে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও সঞ্চালনার সুযোগ দিয়ে এক সহিষ্ণুতার বার্তা দিলো।  

কানাডার মাটিতে হিজাব মাথায় টেলিভিশনে অনুষ্ঠান সঞ্চালনাকারী ওই নারী সাংবাদিকের নাম জিনেলা মাসা (Ginella Massa)। হিজাব মাথায় অনুষ্ঠান উপস্থাপনের সুযোগ পেয়ে ২৯ বছর বয়সী ওই নারী ভীষণ খুশি। তিনি এ কথা টুইটারে জানিয়েছেন নিজেই। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

জিনেলা মাসা টুইটারে লিখেছেন, ‘অবশেষে স্বপ্ন পূরণ। এর আগে হিজাব পরে কেউ টেলিভিশনে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেননি। আমার জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ’

হিজাবধারী এই উপস্থাপিকা বর্তমানে কানাডার টরেন্টোর ‘সিটি নিউজ’  (CityNews) টেলিভিশনে কর্মরত। গত সপ্তাহে চ্যানেলের সম্পাদক ও মালিক আচমকাই তাকে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব দেন।  

প্রথমে অবাক হলেও শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) তিনি সফলভাবে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। সাম্প্রতিক খবরের বিশ্লেষণ নিয়ে ওই অনুষ্ঠানটি তিনি দক্ষতার সঙ্গেই পরিচালনা করেছেন। তারপর থেকেই শুভেচ্ছা বার্তা পাচ্ছেন মাসা।  

মজার বিষয় হলো, তার উপস্থাপিত অনুষ্ঠানটির রেটিং শেষদিকে বেড়ে যায়। এমন সাফল্যের প্রেক্ষিতে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ তাকে অনুষ্ঠানটি চালিয়ে যেতে বলেছেন।  

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, দেশের প্রথম হিজাব পরিহিত টেলিভিশন সাংবাদিক হিসেবে ওই খবরের চ্যানেলে যোগ দিয়েছিলেন জিনেলা। মাত্র এক বছররে মধ্যেই ফের নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি।

মাসা তার অর্জনকে ব্যক্তিগত কর্মজীবনের অগ্রগতির পাশাপাশি মুসলিম নারীদের সফলতা হিসেবে দেখছেন। তার মতে, কোনো মুসলিম নারীর জন্য তার নীতি-আদর্শ রক্ষা করে সাংবাদিকতার মতো চাকরি যে কঠিন নয়- এটা প্রমাণ হয়েছে। আমি নারী, আমি হিজাবি, সাংবাদিকতা আমার পেশা হতে পারে না- এমন ধারণা মনে করা বোকামী।  

হিজাব ইসলামের প্রতীক, এর একটি একটি শক্তিশালী ইমেজ রয়েছে। সেটা আন্তরিকভাবে বহন করলে- মিডিয়াতে অবশ্যই এর ইতিবাচক ইমেজ দেখা যাবে। এটা মুসলমানদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই চেতনাকেই মাসা তারা সফলতার মূলমন্ত্র বলে মনে করেন।  

-দ্য গার্ডিয়ান অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
এমএইউ/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।