ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

আতিয়া মসজিদ সংস্কার করে ঐতিহ্যটি সংরক্ষণ করুন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
আতিয়া মসজিদ সংস্কার করে ঐতিহ্যটি সংরক্ষণ করুন আতিয়া জামে মসজিদ, টাঙ্গাইল

বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর অন্যতম হলো-  টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া জামে মসজিদ। ৪০০ বছর আগে মোগল আমলে আতিয়া পরগনার জমিদার সাইদ খান পন্নী বিভিন্ন কারুকাজ-সংবলিত টেরাকোটার ইট ও চুন-সুরকির গাঁথুনিতে মসজিদটি নির্মাণ করেন। 

দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল থেকে: বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর অন্যতম হলো-  টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া জামে মসজিদ।  

৪০০ বছর আগে মোগল আমলে আতিয়া পরগনার জমিদার সাইদ খান পন্নী বিভিন্ন কারুকাজ-সংবলিত টেরাকোটার ইট ও চুন-সুরকির গাঁথুনিতে মসজিদটি নির্মাণ করেন।

 

এ মসজিদের ছবি ১০ টাকার নোটে মুদ্রিত। এই মসজিদে নানা রকমের টেরাকোটার অলংকরণ ছাড়াও আছে দুর্লভ শিলালিপি।  

মসজিদটির মূল নকশা ঠিক রেখে ১৮৩৭ সালে এটি সংস্কার করেন দেলদুয়ার জমিদার বাড়ির রওশন খাতুন চৌধুরানী, এরপর ১৯১৯ সালে দেলদুয়ারের জমিদার আবু আহম্মেদ গজনবি ও করটিয়ার জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নীও (দ্বিতীয়) এটি সংস্কার করেন।  

বিখ্যাত এই মসজিদটিতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পাশাপাশি ছোট ছেলে-মেয়েদের মক্তবের ক্লাস করানো হয়।  

মসজিদের স্থাপত্যশৈলী দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকেরা আসেন।  

বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকলেও বর্তমানে সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের পথে ঐতিহাসিক এই জাতীয় সম্পদ।  

দীর্ঘদিন ধরে মসজিদে কোনো চুনকাম করা হয় না। অযত্ন, অবহেলা আর সংস্কারের অভাবে দেশের অন্যতম প্রাচীন নিদর্শনটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।

এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ অনতিবিলম্বে মসজিদটি সংস্কার করে এই জাতীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ করবেন।  

লেখক: বাংলানিউজের পাঠক

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।