ইসলামের শেষ নবী হলেন হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কল্যাণ ও বরকতের আশায় তাই মুহাম্মদ নামটি অনেক মুসলমান নিজের সন্তানের নাম হিসেবে রাখেন।
মুহাম্মদ নামের অনেক বরকত ও ফজিলত রয়েছে। যা বিভিন্ন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। হজরত আবদুল হক মুহাদ্দেসে দেহলভি (রহ.) বলেন, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামের অন্যতম গুণাবলীর মধ্যে রয়েছে, ‘এ নামে যার নাম রাখা হয়েছে সে দুনিয়ার মধ্যে অনেক বরকতময়, প্রতিপত্তিশালী মর্যাদাবান হবে এবং আখেরাতে মুক্তি পাবে।
মুহাম্মদ নামটি যুক্তরাজ্যের শিশুদের জনপ্রিয় নামের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে আছে। বিভিন্ন বেবি সেন্টারের সূত্রে লন্ডনের দৈনিক পত্রিকা মেট্রো জানিয়েছে, শিশুদের নামের তালিকায় ২০১৪ সাল থেকে শীর্ষস্থান দখল করে আছে মুসলমানদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নামটি।
গোটা বিশ্বে এই নামটি সবচেয়ে জনপ্রিয়। এমনকি বিশ্বের একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলেও। ইসরাইলে নতুন জন্ম নেওয়া শিশুর নাম রাখার ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নামটিই শীর্ষে রয়েছে।
২০১৬ সালের নভেম্বর নাগাদ জন্ম নেওয়া ২ হাজার ৬৫০ জন শিশুর নাম রাখার ওপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ডেইলি মেইলের এক খবরে বলা হয়, যদিও দেশটির জনসংখ্যা ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করছে।
মুহাম্মদ নাম বাদে ইসরাইলে গত ১২ বছর ধরে ছেলেদের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় নামগুলো হচ্ছে- যোশেফ, ড্যানিয়েল, উরি, ইতাই, ওমর, অ্যাডাম, নোয়াম, আরিয়াল, আইতান ও ডেভিড।
আর মেয়েদের জনপ্রিয় নামের শীর্ষে রয়েছে মরিয়ম। এর পরের জনপ্রিয় নামগুলো হলো- তামার, শিরা, আদেল, তালিয়া, ইয়াল, লিয়ান, মায়া ও আবিগাজিল।
ইসরাইলের সরকারি পরিসংখ্যান মতে, অধিকৃত অঞ্চলের জনসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ জনগণ আরবি ভাষী। তাই তাদের মাঝে এ নামের প্রভাব বেশি লক্ষণীয়।
নবজাতক শিশুদের নাম মুহাম্মদ রাখা প্রসঙ্গে অভিভাবকদের মত হলো, প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি তাদের অগাধ ভালোবাসা এবং তাকে স্মরণ করা এর অন্যতম কারণ। তারা বিশ্বাস করেন, মুহাম্মদ নামটি সুখ এবং সমৃদ্ধি আনে।
মুহাম্মদ অর্থ প্রশংসিত। কোরআনে কারিমে এ নামটি চার বার এসেছে। সেগুলো হলো- সূরা আলে ইমরান- ১৪৪, সূরা আহজাব- ৪০, সূরা মুহাম্মদ- ২ ও সূরা আল ফাতাহ এর ২৯ নং আয়াত।
-অন ইসলাম অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
এমএইউ/