হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করে জুমার জন্য মসজিদে এলো, তারপর চুপ থেকে খুতবা শুনলো তার দশ দিনের গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। আর যে নুড়ি স্পর্শ করলো সে ‘অনর্থক’ কাজ করলো।
অন্য আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, জুমার দিন খুতবা চলা অবস্থায় যদি তোমার পাশের জনকে বলো, ‘চুপ করো’ তাহলে তুমিও একটি অনর্থক কাজ করলে। সহিহ বোখারি: ৯৩৪
‘নাহি আনিল মুনকার’ বা গোনাহের কাজ থেকে নিষেধ করা ভালো কাজ। কিন্তু খুতবা চলা অবস্থায় সেটাকেও অনর্থক ও গোনাহের কাজ বলা হয়েছে। মসজিদের জন্য দান করা বা দান সংগ্রহ করা নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। কিন্তু তা যদি খুতবা চলা অবস্থায় করা হয় তাহলে তাও অনর্থক ও গোনাহের কাজ বলে গণ্য হবে। এজন্য এ বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকা জরুরি।
এখানে এ বিষয়টিও বলে দেওয়া সমীচীন যে, মসজিদ ফান্ডের জন্য দান সংগ্রহ করার এই পদ্ধতি (বাক্স চালনা) কি কোনো আদর্শ পদ্ধতি হতে পারে? এ বিষয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা প্রয়োজন।
অনেকে এ পদ্ধতিকে পছন্দের দৃষ্টিতে দেখেন না। এ জন্য এর উত্তম বিকল্প কী হতে পারে তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা প্রয়োজন।
আসলে তো উচিত ছিলো, প্রত্যেক মুসল্লি নিজ নিজ দায়িত্বে স্বীয় অনুদান মসজিদের জিম্মাদারদের কাছে জমা দেবেন। দান করলে সওয়াব হবে, দানকারীর। সুতরাং এই দান স্বেচ্ছায় হওয়া, লোক দেখানো কিংবা বাহবার প্রত্যাশা ছাড়াই হওয়া বাঞ্চনীয়।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৭
এমএইউ/