জেলার দৌলতখান উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নে ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের ঘুইংগার হাট সংলগ্ন ময়দানে এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী ইজতেমা শনিবার (০৭ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
বুধবার (০৪ জানুয়ারি) সকাল থেকেই জেলা ও জেলার বাইরে থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেছেন।
ইজতেমা আয়োজক সূত্র জানায়, একদিন আগেই ইজতেমার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মাঠে দুই লাখের বেশি মুসল্লির অবস্থানের ব্যবস্থা করা হলেও চার লাখ মুসল্লির সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র আরো জানায়, ইজতেমা জুড়ে একসঙ্গে তিন হাজার মুসল্লির ওজুর ব্যবস্থা, ১৪টি টিউবওয়েল, ৫৫টি শ্যালো টিউবওয়েল, দুই হাজার শৌচাগার, ১৫টি পুকুর, চারটি পুলিশ পর্যবেক্ষণ কক্ষসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।
ইজতেমা মাঠে দুইটি চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি পাওয়ার প্লান্ট বসানো হয়েছে।
ইজতেমা মাঠে দায়িত্বে থাকা তাবলীগের এক মুরুব্বি জানান, প্রায় একশত একর জমির ওপর ইজতেমা ময়দান তৈরি করা হয়েছে। ভারত, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া থেকে আগত মেহমান এতে অংশগ্রহণ করবেন এবং স্থানীয়, বিভিন্ন জেলা এবং বিদেশি নাগরিকরা ইজতেমায় বয়ান করবেন।
ইজতেমা মাঠ ঘুরে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মুসল্লিরা মাঠে এসে জড়ো হচ্ছেন। নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করছেন তারা।
আয়োজন কমিটির সদস্য ডা. আবদুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, ইজতেমাকে কেন্দ্র করে অনেকদিন থেকেই নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিলো এখন মাঠ গোছানের কাজ শেষ হয়েছে।
ভোলার পুলিশ সুপার মো. মোক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ইজতেমা মাঠে নিরাপত্তায় দুই শিফ্টে পুলিশের ৫১০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের শুধু ইজতেমা এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, শুধু বাস চলাচল শিথিল থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
এনটি/আরএ