টঙ্গীর তুরাগ তীরে রোববার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে এ মোনাজাত শেষ হয়। ১১টা ১ মিনিট থেকে শুরু হওয়া ৩৪ মিনিটব্যাপী মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী।
আখেরি মোনাজাতে গোটা দুনিয়ায় পথভ্রষ্ট মুসলমানের পাপের ক্ষমা, সঠিক পথের দিশা চেয়ে এবং তাবলিগের কাজে সবাইকে নিয়োজিত হওয়ার তওফিক কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। মাওলানা সাদের বিনম্র সুরে মোনাজাতের সময় ‘আমিন’, ‘আমিন’, ‘আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনি তোলেন দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি। কেঁদে কেঁদে দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে আকুতি ব্যক্ত করেন ধনি-দরিদ্র, শ্রমিক-মালিক নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ।
এর আগে, সকাল থেকেই ইজতেমার মুসল্লিদের উদ্দেশে দিক নির্দেশনামূলক বয়ান দেওয়া হয়। বেলা ১১টার আগে ঘটে প্রতীক্ষার অবসান। জনসমুদ্রে হঠাৎ নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। এরপর শুরু হয় মোনাজাত। এ মোনাজাতে অংশ নিতে ভোরই থেকে ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে হাজার হাজার মুসল্লি পায়ে হেঁটে ইজতেমাস্থলে যোগ দেন। মোনাজাত শুরু হওয়ার আগেই ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ময়দানে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা আশে-পাশের অলি-গলি, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ফুটওভার ব্রিজ, বাসা-বাড়ি, কলকারখানা, মার্কেট ও যানবাহনের ছাদে এবং তুরাগ নদের নৌকায় অবস্থান নেন। আখেরি মোনাজাতের জন্য ইজতেমা ময়দানের আশে-পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ বিভিন্ন অফিস-দফতর ছুটি ছিল। ইজতেমায় আগত দেশি-বিদেশি লাখো মুসল্লির সঙ্গে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনেতিক দলের নেতা, তারকা ব্যক্তিসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
আরএস/এইচএ/
আরও পড়ুন
** দাওয়াতের দ্বারা ইসলাম প্রসারিত হয়েছে
** ‘আমিন-আমিন’ ধ্বনি তুরাগ তীরে