শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় অমুসলিমরা মসজিদ এবং ইসলামিক কেন্দ্র পরিদর্শন করে পবিত্র কোরআন, ইসলাম ও মুসলমানদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। অনেকে এভাবে মসজিদ পরিদর্শনের সুযোগ পেয়ে বেশ খুশি।
মসজিদ পরিদর্শনকারীদের অনেককে দেখা গেছে, তারা পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের নিয়ে দলবেঁধে ইসলামিক কেন্দ্র এবং মসজিদ পরিদর্শন করছেন।
ইসলামিক সেন্টারের মিলনায়তনে পরিদর্শনকারীদের জন্য কোরআনের আয়াতলিখিত বিভিন্ন বাণীসমৃদ্ধ পোস্টার সাঁটানো হয়। তারা সেগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখেন।
মসজিদের প্রবেশদ্বারে স্বেচ্ছাসেবীরা দর্শনার্থীদেরকে অভ্যর্থনা জানিয়ে মসজিদের ভেতরে নিয়ে যান, সেখানে তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিলো। আপ্যায়ন শেষে প্রত্যেকের হাতে এক খণ্ড অনূদিত কোরআনে কারিমও হাদিয়া দেওয়া হয়।
মসজিদ পরিদর্শনকালে অনেকেই ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্য প্রশ্ন করেন। তাদের সেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়।
চাটানুঘার পুলিশ প্রধান ইউনিফর্ম পরে মসজিদ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি মুসলিম ও অমুসলিমদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। তিনি এমন অনুষ্ঠানের ইসলামিক কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মুসলমান বন্ধুদের নিকট হতে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি।
পবিত্র কোরআন যে টেবিলে রাখা হয়েছিল, তার পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশ প্রধান বেভারলি হেইডেন বলেন, মুসলমানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য আমি এখানে এসেছি। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আমার ধারণা রয়েছে; কিন্তু এই ধারণা যথেষ্ট নয়। জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে শেষ বলে কিছু নেই, তাই জ্ঞানার্জনের অংশ হিসেবে, মুক্ত চিন্তার মানুষদের চেনার জন্য এটা একটি উত্তম পন্থা।
আমেরিকার টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সুপ্রিমকোর্টের রায়ে এর অবসান ঘটে।
চাটানুঘা এলাকায় প্রায় দেড় হাজার মুসলমান বসবাস করেন। সংখ্যায় কম হলেও এখানকার মুসলিমরা বেশ স্বাধীনভাবেই তাদের জীবন অতিবাহিত করছেন।
মধ্য টেনেসির স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রকৌশলীর অধ্যাপক সালেহ বেনাতি ইসলামি সেন্টারটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
তিনি বলেন, আমাদের এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো- যারা মসজিদ পরিদর্শনে যেতে ভয় পায় তাদের কাছে মুসলমানদের দৃশ্যমান করা। দেখুন, মুসলমানদের সম্পর্কে আমেরিকার মানুষদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং মিত্রতার জন্য আপনাকে হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
অধ্যাপক সালেহ বেনাতি আরও বলেন, এ বছরের গোড়ার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদের একটি গ্রুপটিকে আমার সঙ্গে দেখা করে বলে, তারা আগে কখনও কোনো মুসলিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেনি। আমি পরস্পরের এই দূরত্বটা কমানোর জন্যই আমাদের এই আয়োজন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
এমএইউ/