কারণ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে মুসলিম প্রধান সাত দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে অভিবাসীর স্রোত কমাতে সরব- তখন ডোমেক্রেটরা দলের উপ-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন একজন মুসলিমকে।
কিথ এলিসনের পুরো নাম কিথ মাউরিস এলিসন।
ডেমোক্রেট স্টাবলিশমেন্টরা আটলান্টায় দলের জাতীয় সমাবেশে তাকে দলের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেন। দলীয় প্রধান হওয়ার জন্য সারা দেশের নেতাদের ২১৮টি ভোটের প্রয়োজন হয়। সেখানে টম প্যারেস পেয়েছেন ২৩৫ ভোট। তার পরের সারিতে রয়েছেন মুসলিম নেতা কিথ এলিসন। তিনি ২০০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হন।
প্রাথমিক ভোটে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে প্যারেসের কাছে হেরেছিলেন এলিসন। দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে দলীয় প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন প্যারেস।
এলিসন একজন সুন্নি মুসলিম এবং মার্কিন রাজনীতিতে উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত।
গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তিনি ডেমোক্রেটিকদের মধ্যে প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। ডেমোক্রেটিকদের রাজনীতিতে দূরদর্শীতাসম্পন্ন তারকা হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে।
দলীয় এ পদ লাভের আগে কংগ্রেশনাল প্রগ্রেসিভ ককাসের কো-চেয়ারম্যান, চিফ ডেপুটি হুইপ ও হাউস কমিটি অন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এলিসন।
ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্য থেকে আন্দ্রে কারসন ও এলিসনই এখন মার্কিন কংগ্রেসের মুসলিম সদস্য। মিনেসোটা থেকে আমেরিকার কংগ্রেসে নির্বাচিত প্রথম আফ্রিকান-মুসলিমও তিনি।
এলিসন ২০০৬ সালে কংগ্রেসম্যান নির্বাচিত হয়ে যেমন ইতিহাস রচনা করেছিলেন, তেমনি এবার দলের উপ-প্রধান নির্বাচিত আরেক ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। শ্রমিক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তার দরুণ তিনি এ পদে নির্বাচিত হন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৭
এমএইউ/