এ আইন বাস্তবায়ন হলে ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম’ বা ঘুম থেকে নামাজ উত্তম বলে মুসল্লিদের ফজর নামাজের জন্য শব্দ করে আজান দেওয়া যাবে না।
যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে তাহলে তাকে ইসরায়েলি মুদ্রায় ১০ হাজার শেকেল বা দুই হাজার ৭০০ ডলার জরিমানা করা হবে।
বুধবার (০৮ মার্চ) ৫৫-৪৮ ভোটে বিলটি পাস হয়। ক্ষমতাসীন জোট সরকারের সদস্য ও আরব এমপিদের তীব্র বাদানুবাদ ও বিতর্কের পর বিলটির ওপর ভোট গ্রহণ করা হয়। বিতর্কের সময় উভয় পক্ষের এমপিরা পরস্পরের প্রতি চিৎকার করে প্রতিবাদ জানান। অনেক আরব এমপি বিলের কপি টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। এজন্য তাদেরকে হাউস থেকে বের করে দেওয়া হয়।
নেসেটের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মসজিদগুলোতে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত মাইকে আজান দেওয়া নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এরপর দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ে উপাসনালয়ে মাইকের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
যদিও বিলটিতে কোনও বিশেষ ধর্মের উপাসনালয়ের কথা বলা হয়নি। তবে বিলটির নাম থেকেই এটির লক্ষ্য স্পষ্ট হয়। বিলটির শিরোনাম ‘মুয়াজ্জিন বিল’। মসজিদ থেকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য মাইকে আজান প্রচার করা হয়। আর যে আজান দেয় তাকে বলে মুয়াজ্জিন। এটা ইসলামের একটি বহুল প্রচলিত পরিভাষাও বটে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এই বিতর্কিত বিলের সমালোচনা করেছেন মুসলিম, খ্রিস্টান এমনকি ইহুদি জনগণও। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই বিলের সমর্থক।
কট্টর নেতানিয়াহু বলেছেন, আজানের কারণে অতিরিক্ত ‘কোলাহল’ সৃষ্টি হয় বলে তিনি বিলটি সমর্থন করেন।
এর আগে কট্টর ডানপন্থী জুইশ হোম পার্টির নেতা মটি জোগেভ বিতর্কিত আইনটির প্রস্তাব করেছিলেন।
এতে সব সময়ের জন্য সশব্দে মাইকে প্রার্থনার আহ্বান বন্ধের প্রস্তাব ছিল। এর ফলে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইহুদিদের ‘সাব্বাথ’ প্রার্থনার জন্য সাইরেন বাজানোও নিষেধাজ্ঞায় পড়তো। এ কারণে ইসরায়েলি আইনসভা নেসেট আইনটি প্রত্যাখ্যান করে।
পরে আইনটি সংশোধন করে শুধু রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত উচ্চ শব্দে প্রার্থনার আহ্বান নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়।
পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারির মন্ত্রিসভা কমিটি সংশোধিত প্রস্তাবটি অনুমোদন করে। এই কমিটির সভাপতি জুইশ হোম পার্টির নেতা এবং নেতানিয়াহু সরকারের বিচারমন্ত্রী আয়েলেত শাকেদ।
-আল জাজিরা অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
এমএইউ/