মানববন্ধনের সময় মুসলিম নারীদের পরনে ছিল নীল স্কার্ফ। এ প্রসঙ্গে তাদের অভিমত হলো, এখানে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আশার প্রতীক হিসেবেই তারা তা পরিধান করেছেন।
ওমেন্স মার্চ অন লন্ডন নামে একটি সংগঠন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
সন্ত্রাসের শিকারদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মুসলিম নারীরা ৫ মিনিটের মানববন্ধনে অংশ নেন। এ সময় তারা একে অপরের হাত ধরে রেখেছিলেন যা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। মানববন্ধনের সময় বিগবেনে বিকেল ৪টা বাজার ঘন্টাও বেজে ওঠে।
ওয়েস্টমিনস্টার সেতুতে মানববন্ধনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে এ কারণে যে, এ সেতুতেই সন্ত্রাসী খালিদ মাসুদ একটি কালো হুন্দাই গাড়ি নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর তা তুলে দেন। আর সেখানেই প্রতিবাদটা হলো।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সারবিটনের বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী ফারিয়া খান বলেন, এই সেতুর ওপর যে ঘৃণ্য ঘটনা ঘটে গেছে তার বিরুদ্ধে আমি আমার অনুভূতি আর শক্তিশালী প্রতিবাদ জানাতে এখানে এসেছি। যেকোনো সহিংসতার বিরোধী ইসলাম। এমন হামলা আমাদের কাছে ঘৃণ্য।
তিনি আরও বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে আমি সেসব মৌলিক নীতির প্রতি সংহতি প্রদর্শন করি যেখানে সবাইকে ভালোবাসা হয়, থাকে বহুত্ববাদ, বৈচিত্র এবং আরও অনেক বিষয়।
আরেক মুসলিম নারী সারা ওয়াসিম জানান, লন্ডনে যখন কোনো হামলা ঘটে তার মানে সে হামলা আমার ওপরেই যেন ঘটল- এমনটাই আমি মনে করি এবং আমি তার প্রতিবাদ জানাই। কারণ এ ধরনের সন্ত্রাস আমাদের সবার ওপর হামলার সমান।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে ইসলাম। এমন হামলা জঘন্য।
এদিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নারীরা র্যালি করেছেন ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম শহরের ভিক্টোরিয়া স্কয়ারেও।
ওই র্যালিতে ইংল্যান্ডের সাধারণ মুসলমান ছাড়াও মুসলিম নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন।
র্যালির অন্যতম আয়োজক ছিলেন, ওয়াফার সিদ্দিকা। তিনি বলেন, ইসলামের নাম অপব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে, সন্ত্রাসের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই।
র্যালিতে ‘সন্ত্রাসীরা ইসলামের শত্রু’ স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করা হয়।
-দ্য গার্ডিয়ান অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
এমএইউ/