কিন্তু অনেক সময় মানুষের বাকশক্তির অপব্যবহার পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অকল্যাণ বয়ে আনে। বিপর্যয়ের কারণ ঘটায় জিহ্বার অবিবেচনাপ্রসূত ব্যবহার।
কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক ও সংযমী হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছে ইসলাম। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মুখের হেফাজত ও কথাবার্তায় সংযমী হওয়ার ব্যাপারে বেশ গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তিনি নিজেও এ ব্যাপারে বেশ সতর্ক থাকতেন।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে তার জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের সঠিক ব্যবহারের তথা হেফাজতের নিশ্চয়তা দিতে পারবে- আমি তাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিতে পারব।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট- সে যা শুনে তাই (সত্যতা যাচাই না করে) বলে বেড়ায়।
হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে- অন্যথায় চুপ থাকে।
হাদিসে কম কথা বলার অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। ওই সব হাদিসের মমার্থ হলো- কথা যত কম বলা যায়, ততই মঙ্গল। যে বেশি কথা বলে, তার বিপদ বেশি হয়। তাই তো হাদিসে বলা হয়েছে, যে চুপ থাকে সে মুক্তি পায়।
ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো- যারা কম কথা বলেন, তারা বুদ্ধিমান। তাই মানুষের উচিত- প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা না বলা।
প্রয়োজনীয় কথার অর্থ হলো- যেসব কথা নেকি অর্জনের উদ্দেশ্যে বলা হয়, যেসব কথা গোনাহ থেকে বাঁচার জন্য বলা হয়, যেসব কথা না বললে পার্থিব ক্ষতি হয়।
বেশি কথার দ্বারা মানুষ অকারণে অনেক গোনাহে লিপ্ত হয়। এসব গোনাহের অন্যতম হলো- মিথ্যা বলা, গিবত করা, নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করা, কাউকে অভিশাপ দেওয়া, কারও সঙ্গে অহেতুক তর্ক জুড়ে দিয়ে বিপদে ফেলা, অতিরিক্ত হাসিঠাট্টা করতে গিয়ে মানুষকে কষ্টে দেওয়া ইত্যাদি।
এক কথায় বলা চলে, কম কথা বলার অভ্যাস থাকলে বহু পাপ থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭
এমএইউ