সেই চীনের হিজাব পরিহিত এক ছাত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম চমৎকার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনটি চীনের চিংশাই প্রদেশের এক মুসলিম তরুণীর জীবনের গল্প নিয়ে।
রাহামাহ নিজেকে হিজাবি নারী বলেই পরিচয় দিতে বেশি স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন। প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে তিনি হিজাব পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন, কোরআন তেলাওয়াত করছেন নামাজ আদায় করছেন এমনকি নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সময় দিচ্ছেন।
হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীকে চীনে কিভাবে দেখা হয়- সেটা জানাচ্ছেন রাহামাহ।
রাহামাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি হিজাব পরতাম না। এখন আমি নিয়মিত হিজাব পরছি। তার মতে, হিজাব তাকে এক অনন্য এবং স্বতন্ত্র পরিচয় দিয়েছে।
যদিও হিজাব পরার কারণে অনেকে ভুল বোঝেন। এমনকি হিজাব পরার কারণে তাকে শিক্ষাজীবন শেষে শিক্ষকতার চাকির পেতে বেশ সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়েছে।
রাহামার মতে, স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করেন- হিজাব পরা শিক্ষক থাকলে তার খারাপ প্রভাব পড়বে।
কিছুদিন শিক্ষকতা করার পর ২০১২ সালে রাহামাহ বেইজিং চলে আসেন। এখানে তিনি মুসলমানদের জন্য ডিজাইন করা পোশাকের দোকান চালু করেন। ইতোমধ্যে তার দোকান বেশ সুনাম কুড়িয়েছে।
রাহামাহ আশা করেন, মুসলমান নারীরা এক সময় আত্মবিশ্বাস নিয়ে হিজাব পরে চীনের রাস্তায় হাঁটতে পারবে একইসঙ্গে কর্মক্ষেত্রেও তারা নিজ ধর্ম বিশ্বাস অক্ষুন্ন রেখে কাজ করতে পারবে।
২৫ বছর বয়সী রাহামাহ বলেন, তিনি হিজাব নিয়ে কোনো ধরনের অস্বস্তিতে নেই। তিনি মনে করেন, হিজাব পরে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং তাতে কোনো সমস্যা নেই।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭
এমএইউ/