ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

তারাবির হাফেজ নির্বাচনে দেখা হয় বয়স, ইয়াদ ও সুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
তারাবির হাফেজ নির্বাচনে দেখা হয় বয়স, ইয়াদ ও সুর স্থানীয় মাহমুদিয়া মাদরাসার হাফেজ ছাত্ররা বরিশালের বিভিন্ন মসজিদে খতমে তারাবির ইমামতি করেন

বরিশাল: ইমাম, মোয়াজ্জিন থাকলেও রমজানে বরিশালে খতমে তারাবির জন্য হাফেজ ঠিক করা হয়ে থাকে মসজিদে মসজিদে।

আর এ জন্য সকল প্রক্রিয়া এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়ে গেছে। এখন শুধু অপেক্ষা।

 

তারাবির হাফেজ নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন মসজিদের পক্ষ থেকে হাফেজ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি কিংবা বিভিন্ন মাদরাসার কাছে আবেদন জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় হাফেজ বাছাইয়ের কাজ।

সাধারণত শবে বরাতের রাতে হাফেজরা মসজিদে যেয়ে ইন্টারভিউ কিংবা সাক্ষাতের কাজ শেষ করে আসেন। ওই সাক্ষাতেই তাদের মসজিদ নির্ধারণ হয়। এর পর রমজান শুরুর একদিন আগে চলে আসেন নির্দিষ্ট মসজিদে।

বরিশাল নগরের মহাবাজ এলাকার বিশ্বাস বাড়ির মসজিদ কমিটির সদস্য নজরুল বিশ্বাস জানান, তাদের বাড়ির সামনের মসজিদে প্রতিবছরই হাফেজ দিয়ে খতম তারাবি পড়ানো হয়। এ জন্য তারা প্রতিবছরই হাফেজদের জন্য স্থানীয় মাহমুদিয়া মাদরাসার হেফজ খানায় বলে থাকেন। সেখান থেকে হাফেজরা আসেন। স্থানীয় মুরুব্বি, ইমাম ও খতিবরা হাফেজদের কোরআন পাঠ শোনেন। তারপর সহিহ-শুদ্ধ উচ্চারণ, কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে সুরের ওপর গুরুত্ব দিয়ে নির্ধারণ করা হয় হাফেজ।  
​মাহমুদিয়া মাদরাসার হাফেজ ছাত্রদের একাংশ
তিনি বলেন, প্রতিবছর ২ জন হাফেজ তারাবির নামাজের জন্য রাখা হয়। তবে আবার অনেকে মসজিদে এক হাফেজই দীর্ঘদিন ধরে খতম তারাবির ইমামতি করে থাকেন বলে জানান তিনি।

এ দিকে নগরের নবগ্রাম রোডের মারকাজুল উলুম কওমি মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা শহীদুল্লাহ জানান, তারাবির হাফেজের জন্য বরিশালে কিছু নিয়ম রয়েছে। সে নিয়মানুযায়ী মসজিদের ইমাম ও কমিটির লোকজন বিভিন্ন মাদরাসায় হাফেজের জন্য যোগাযোগ রাখেন।  

অনেকে আবার বিজ্ঞপ্তিও দিয়ে থাকেন। তবে বেশি খোঁজ হাফেজরাই রাখেন। একজন হাফেজ হওয়ার পর তারাবির নামাজ পড়ানোর জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেন। এটা অনেকটা ইন্টার্ণশিপের মতো। যে যতো ভালো করবে তার ফল তত ভালো হবে।  

তিনি বলেন, মসজিদের ইমামদের চাহিদা কিংবা বিজ্ঞপ্তি যাই হোক না কেন প্রতিটি মসজিদে গিয়ে কমিটির কাছে একটা পরীক্ষা দিতেই হয়। সে পরীক্ষায় হাফেজের বয়স, ইয়াদ (টেকসই স্মরণ) ও সূরের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশি।  

হাফেজরা তারাবির জন্য শহরের মসজিদ বেশি খোঁজেন। অর্থাৎ শহরের হাফেজরা শহরের মসজিদে তারাবি পড়াতে চান।  

সাধারণত ২৭ রমজানে খতমে তারাবি শেষ হয়। এর পর সূরা তারাবি হয় মসজিদগুলোতে।  

অনেক মসজিদে শুধু সূরা তারাবির ব্যবস্থা করা হয়। আবার কোনো কোনো স্থানে রমজানের প্রথম ১০ দিনে খতমে তারাবির আয়োজন করা হয়। অর্থাৎ ১০ দিনে কোরআন খতম শেষ করে বাকী দিনগুলো সূরা তারাবি পড়েন তারা।  

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
এমএস/এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।