এমন অস্বাভাবিক তাপমাত্রায় হজ পালন করতে যাওয়া লাখ লাখ হাজী তীব্র তাপদাহ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার করেন।
আল্লাহর ঘরের মেহমান হাজীদের ব্যবহৃত ছাতাকে আরও আরামদায়ক করতে বিশেষ ছাতা আবিষ্কার করেছেন সৌদি আরবের এক বিজ্ঞানী।
এ ছাতা একইসঙ্গে প্রখর রোদে ছায়া ও বাতাস দেবে। পাওয়া যাবে জিপিএস সিস্টেমসহ বিভিন্ন ডিভাইস চার্জ দেওয়ার সুবিধা।
হজ পালনকারীদের স্বস্তি দিতে ছাতাটি আবিষ্কার করেছেন মক্কার বিজ্ঞানী কামেল বাদাওয়ি। সঙ্গে ছিলেন ফিলিস্তিনি সহকর্মী প্রকৌশলী মানাল দালদিস।
তীব্র রোদে শুধু ছায়া নয়, ফ্যানের বাতাসও দেবে এ ছাতা। ছাতার সঙ্গে যুক্ত আছে ছোট একটি ফ্যান, আর ফ্যান চলার বিদ্যুৎ সরবরাহ আসবে ছাতায় স্থাপিত বিশেষ সোলার প্যানেল থেকে।
নতুন এ ছাতা প্রসঙ্গে উদ্ভাবক কামেল বাদাওয়ি বলেন, হাজীরা সাধারণত ছাতা ব্যবহার করেন রোদ থেকে বাঁচার জন্য। আগে কেউ ভাবেনি ছায়া ছাড়া অন্য কোনো সুবিধা পাওয়া যায় ছাতার মাধ্যমে। ফলে ছাতায় ফ্যান যুক্ত করার বিষয়টিকে আমরা খুব গুরুত্ব দিয়েছি।
গরমে আরাম দেওয়ার পাশাপাশি হাজীদের নিখোঁজ হওয়া ঠেকানোর প্রযুক্তি জিপিএস সিস্টেম যুক্ত থাকছে এই ছাতায়। থাকছে মোবাইল ও অন্যান্য ডিভাইজ চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থাও।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী মানাল দালদিস বলেন, সোলার প্যানেলে তৈরি হওয়া বিদ্যুৎ জমা থাকবে ছাতার হাতলে। এতে ফ্যান, লাইট ও জিপিএসের জন্য আলাদা আলাদা সুইচ রাখা হয়েছে। জিপিএস চালু করলেই সহজে সঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন হাজীরা। একে অপরের অবস্থানও জানতে পারবেন।
বহুমাত্রিক কাজের এই ছাতায় যুক্ত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি সোলার প্যানেল। দুই উদ্ভাবকের প্রত্যাশা, শুধু হাজীদের মধ্যে নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও জনপ্রিয়তা পাবে এই ছাতা।
২০১৬ সালে পরীক্ষামূলক চালু হলেও এবার ছাতাটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে পাওয়া যাবে। তবে এর দাম এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৭
এমএইউ/