৫ আগস্টের দুই ফ্লাইট বাতিল হওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মধ্যে। ৪ আগস্ট সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে বিজি ৩০৩৯ ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কবে, কখন সেই ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে তার কোনো তথ্য নেই বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে।
বাংলাদেশ হজ যাত্রী কল্যাণ পরিষদ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরে হজ যাত্রীদের জন্য ৬শ’ ৩৫টি হজ এজেন্সি টিকেট চাইলেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মাত্র ১শ’ ৪টি হজ এজেন্সিকে টিকেট দিয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি এজেন্সিকে দেওয়া হয়েছে নাম মাত্র টিকিট। আর বাকি ৩৪টি এজেন্সির মাধ্যমে সিন্ডিকেট তৈরি করে রেখেছে বিমান। ফলে বেশি সংখ্যক হজযাত্রী এই সিন্ডিকেট সঠিক ব্যবস্থাপনায় রাখতে না পারায় বার বার হজ ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মোটা অংকের দুর্নীতি করেছে বিমান কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ হজ যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের বাংলানিউজকে বলেন, বিমানের দুর্নীতি অব্যবস্থাপনার কারণেই বার বার হজ ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে। কিছু এজেন্সি দিয়ে সিন্ডিকেট করে হজযাত্রীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই অল্প সংখ্যক এজেন্সি এতো হজযাত্রী ম্যানেজ করতে পারছে না। ফলে ভিসা করতে যেমন দেরি হচ্ছে ঠিক তেমনি তৈরি হচ্ছে নানা জটিলতা। অনেকের ভিসা হওয়ার পরও এখনও যেতে পারছেন না জেদ্দায়।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আশকোনার হজ অফিস থেকে ৫ আগস্টের দুটি ফ্লাইট বিজি ৩০৪১ ও বিজি ৫০৩৫ বাতিল বলে ঘোষণা করলেও বিমান কর্মকর্তারা এ বিষয়ে জানেন না বলে দাবি করা হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৫ আগস্টের দুটি ফ্লাইট বাতিল হওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ ভুল বলে দাবি করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র ও গণসংযোগ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার শাকিল মেরাজ।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ৫ আগস্ট বিমানের কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়নি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিস কেন এমনটা ঘোষণা দিয়েছে তা আমরা জানি না।
অন্যদিকে হজ টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হজ যাত্রী কল্যাণ পরিষদের বিমানের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিমানের এই মুখপাত্র। তিনি বলেন, আমরা হজ ফ্লাইটের টিকিটের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে আবেদনপত্র চেয়েছি। যেসব এজেন্সি আবেদন করেছে আমরা তাদের টিকিট দিয়েছি। এখানে কোনো সিন্ডিকেট নেই।
**‘হজ ফ্লাইট বাতিল নতুন কিছু নয়’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৭
ইউএম/আরআর