অভিযোগে বলা হয়, পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় একজন পুলিশ অফিসার জোরপূর্বক ওই নারীকে হিজাব খুলতে বাধ্য করে। এ জন্য ২০১৬ সালে তিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, লো রাইডার গাড়ি চালানোর জন্য পুলিশ ক্রিস্টি পাওয়েল ও তার স্বামীকে আটক করে। পরে পাওয়েলের নামে ওয়ারেন্ট জারি হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখায়।
পাওয়েলকে একজন নারী পুলিশ অফিসারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য তার স্বামী অনুরোধ জানান। কিন্তু তার এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং পাওয়েলকে জানানো হয় য়ে, তার হিজাব খুলে ফেলতে হবে। পাওয়েল তার হিজাব ছাড়াই কারাগারে রাত কাটান। পরে তার স্বামী তার জামিননামা দাখিল করার পর তাকে তার হিজাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
মামলার রায়ে বলা হয়, পাওয়েলকে তার ধর্মীয় পোশাক হিজাব ছাড়াই জনম্মুখে হাজির হতে বাধ্য করা হয়েছিল, এটা গুরুতর অন্যায়। রায়ে আরও বলা হয়, ‘অবাধ ধর্ম চর্চা থেকে বঞ্চনার ফলে ক্রিস্টি পাওয়েল গুরুতর অস্বস্তি, অপমান এবং মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। ’
২০১৬ সালের এপ্রিলে পাওয়েল মামলাটি দায়ের করেন। তিনি এতে অভিয়োগ করেন য়ে, পুলিশ তার প্রথম সংশোধনী অধিকারকে লঙ্ঘন করেছে। প্রথম সংশোধনী অধিকার হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের একটি সংশোধনী। এতে অবাধ মত প্রকাশের অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। এই অধিকারের মধ্যে সমাবেশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা অন্তর্ভুক্ত।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস নেভিগেশন কাউন্সিল মামলায় জয়ী হওয়ার জন্য পাওয়েলের প্রশংসা করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার রক্ষার জন্য ক্রিস্টি পাওয়েলের সংগ্রামের জন্য আমরা তার প্রশংসা করছি। ’
পাওয়েল আমেরিকা-ইসলামিক রিলেশন্স কাউন্সিলকে জানান, তিনি এই বাজে অভিজ্ঞতার সবশেষ মুসলিম নারী হতে চেয়েছিলেন। তার মতো আর কোনো মুসলিম নারীকে যেন এ রকম ভয়াবহ ও বাজে অভিজ্ঞতার শিকার হতে না হয় । আর এ জন্যই তিনি আইনের আশ্রয় নেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি চাই, আমার মুসলিম বোনেরা হিজাব পরিধানের মাধ্যমে সবসময় আরাম এবং নিরাপদ বোধ করুক এবং এই অধিকার আদায়ে তারা মাথা তুলে দাঁড়াক। ’
-সিএনএন অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
এমএইউ/