তিন মাস পর শনিবার (২৬ আগস্ট) মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়। এতে এবার সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়েও বেশি টাকা পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদীর তীরে এ মসজিদের অবস্থান। মসজিদটি অনেক পুরোনো। এখানে জুমার দিন প্রচুর লোক সমাগম হয়। মসজিদে নারীরা আলাদা নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের সঙ্গে একটি মাদ্রাসাও রয়েছে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।
মসজিদটি পরিচালনার জন্য একটি কমিটি রয়েছে। কমিটির সভাপতি (পদাধিকারবলে) জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মাজহারুল ইসলাম ভুঁইয়া কাঞ্চন।
সিন্দুকের দানবাক্সগুলো খোলার সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের সাঈদ বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণত তিন মাস পর পর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। শনিবার দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। টাকাগুলো গুণে এতে নগদ এক কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, সোনা, রুপার পরিমাণ এখনো মাপা হয়নি। এছাড়া বেশ কিছু মার্কিন ডলার, সিঙ্গাপুরি ডলার, সৌদি রিয়াল ও মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত পাওয়া গেছে। সেগুলো এখনো ভাঙানো হয়নি। এই মসজিদের দানবাক্সগুলো যখনই খোলা হয়, তখনই সাধারণত এক কোটি টাকার কাছাকাছি পাওয়া যায়। এবার সর্বোচ্চ টাকা পাওয়া গেছে।
দানবাক্সে পাওয়া এই টাকা মসজিদ কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, ২৭ আগস্ট, ২০১৭
আরএ