এখন মক্কায় অবস্থানরত হজপালনকারীরা ৯ জিলহজ মঙ্গলবার ইহরাম বেঁধে মিনার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। হজপালনকারীদের সুবিধার জন্য হজের মাসয়ালা ও বিধান নিয়ে আলোচনা করা হলো।
হজের ফরজ ৪টি
এক. হজের নিয়ত করে হজের পোশাক (সেলাইবিহীন দুই প্রস্থ সাদা কাপড় পুরুষদের জন্য) পরিধান করা ও তালবিয়া (লাব্বাইকা ... লা শারিকালাক) একবার পড়া। এটাকে ইহরাম বলে।
হজে অংশ নেওয়া শীর্ষ দশে বাংলাদেশ চতুর্থ
দুই. ৯ জিলহজ আরাফায় অবস্থান করা (কিছু সময়ের জন্য হলেও)। যদি কোনো কারণে হজপালনকারী ৯ জিলহজের দিনে অথবা রাতে আরাফাতে পৌঁছুতে না পারেন, তাহলে তার হজ হবে না।
তিন. জিয়ারতের তাওয়াফ বা ফরজ তাওয়াফের প্রথম চার চক্কর ফরজ, বাকি তিন চক্কর ওয়াজিব। এ তাওয়াফ ১০ জিলহজ করতে হয়। তবে ১১-১২ জিলহজ তারিখেও এ তাওয়াফ করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে।
চার. এ ফরজগুলো নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্ধারিত ক্রমানুসারে আদায় করা।
উল্লেখিত চার ফরজের কোনো একটি বাদ পড়লে হজ হবে না।
হজের ওয়াজিব ৯টি
১. সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে দ্রুত চলা। এখন অবশ্য হাজীদের সুবিধার জন্য এ পথের মাঝে খুব সহজে চোখে পড়ার মতো, মাথার ডানে-বামে ও ওপরে সবুজ বাতির দু’টি বেষ্টনী করে দেওয়া হয়েছে। এই দুই বর্ডার লাইনের মধ্যে দৌড়ালেই ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়। সাফা-মারওয়ার মধ্যবর্তী বাকি অংশে হেঁটে চলতে দোষ নেই। এ দ্রুত চলাকে সায়ি বলে।
২. মুজদালিফায় অবস্থান করা। ৯ জিলহজ (আরাফাতে অবস্থানের দিন) দিবাগত রাতের যেকোনো সময়ে সেখানে পৌঁছানো এবং সূর্যোদয় পর্যন্ত সেখানে কিছু সময় অবস্থান করা।
৩. শয়তানের স্তম্ভে (জুমরাত) পাথর মারা। এটাকে ‘রমি’ বলে।
৪. মক্কা শরিফের চতুর্দিকে ইহরাম বাঁধার যে নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে, সেই পরিসীমার বাইরে যারা অবস্থান করে তাদের জন্য মক্কা শরিফে প্রবেশ করার পর সর্বপ্রথম খানায়ে কাবার তাওয়াফ করা। বাংলাদেশি হাজীদের জন্য এ তওয়াফ ওয়াজিব। এ প্রাথমিক তাওয়াফকে ‘তাওয়াফে কুদুম’ বলে।
৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। খানায়ে কাবা থেকে শেষ বিদায়ের সময় (হজ থেকে ফেরার দিন) তাওয়াফ করা। এটা বহিরাগতদের জন্য ওয়াজিব, কাজেই বাংলাদেশি হাজীদের এ তাওয়াফ ওয়াজিব।
৬. মাথা মুড়ানো বা চুল ছাঁটা। হজের আরকান শেষ করার পর মাথা মুড়িয়ে ফেলা অথবা চুল ছাঁটা। ১০ জিলহজ শয়তানের বড় স্তম্ভে (জামরায়ে উকবায়) পাথর মারার পর মাথা মুড়িয়ে ফেলা বা চুল ছোট করা।
৭. কোরবানি করা। বহিরাগত হাজীদের জন্য এটা ওয়াজিব।
৮. দুই নামাজ একত্রে পড়া। অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে জোহর-আসর একত্রে এবং মুজদালিফায় মাগরিব-এশা একত্রে পড়া ওয়াজিব।
৯. পাথর মারা (রমি), কোরবানি ও মস্তক মুণ্ডন ক্রমানুসারে করা (অবশ্য কোরবানি ও মস্তক মুণ্ডনের ক্রমধারা লঙ্ঘিত হলেও হজ হয়ে যাবে বলে অনেক ইসলামি স্কলার অভিমত ব্যক্ত করেছেন)।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
এমএইউ/জেডএম