পবিত্র হজপালান শেষে হাজিদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে এই ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে।
চলতি হজ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়েছেন মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ২২৯ জন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, হজযাত্রী পরিবহনে বিমান নিজস্ব সুপরিসর বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজের পাশাপাশি ৪০৬ আসনের লিজের বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে।
হজযাত্রীদের সুবিধার্থে বিমান ঢাকা থেকে যাত্রা পূর্বে হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইটের বোর্ডিং কার্ড দিয়ে দিয়েছে। ফলে জেদ্দা এয়ারপোটে হাজিদের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।
১৬৯টি ফ্লাইটে হাজিরা দেশে ফিরবেন। প্রত্যেক হজযাত্রী বিনামূল্যে সর্বাধিক ২টি ব্যাগে ৪৬ কেজি মালামাল আনতে পারবেন।
বিজনেস ক্লাসের জন্য সর্বাধিক ২টি ব্যাগে ৫৬ কেজি মালামাল বহন করতে পারবেন। কেবিন ব্যাগেজে ৭ কেজি মালামাল সঙ্গে রাখতে পারবেন হজযাত্রীরা।
তবে কোনোভাবেই প্রতি পিস ব্যাগের ওজন ২৩ কেজি এবং বিজনেস ক্লাসে ২৮ কেজির বেশি হতে পারবে না।
প্রত্যেক হাজির জন্য ৫ লিটার জমজমের পানি ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। হাজিরা দেশে ফিরলে তা দেওয়া হবে। সুতরাং মক্কা কিংবা জেদ্দা থেকে জমজমের পানি সংগ্রহের কোনো প্রয়োজন নেই। বিমানে পানির জন্য প্রত্যেককে একটি করে টোকেন দেওয়া হবে। পরে ওই টোকেন দেখিয়ে জমজমের পানি সংগ্রহ করতে হবে বিমানবন্দরের নিদিষ্ট কাউন্টার থেকে।
হজযাত্রীরা যেকোনো ধারালো বস্তু যেমন ছুরি, কাঁচি, নেইল কাটার, ধাতবের দাঁত খিলান, কান পরিষ্কারক, তাবিজ ও গ্যাস জাতীয় বস্তু যেমন অ্যারোসল এবং ১০০ (এমএল)-এর বেশি তরল পদার্থ হ্যান্ডব্যাগেজে বহন করতে পারবেন না।
চলতি হজ মৌসুমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সর্বোচ্চ সংখ্যক (৬৪ হাজার ৮৭৩ জন) হজযাত্রীকে সৌদি আরব নিয়ে এসেছে।
এবার তাদের নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে বিমান সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফিরতি ফ্লাইট শুরু করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৭
এমএইউ/এসএইচ