বর্তমানে মাথাপিছু আয় হিসেবে কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর একটি। কাতারের নাগরিক সুযোগ-সুবিধার মান খুবই উন্নত।
মধ্যপ্রাচ্যের এমন অবগুণ্ঠনঘেরা দেশ কাতারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পরিষদে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হলো। এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে শূরা কাউন্সিলে চারজন নারীকে নিয়োগের কথা ঘোষণা দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ৪৫ সদস্যবিশিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ শূরা কাউন্সিলে চারজন নারীকে আসন দেওয়া হয়েছে। কাতারের মন্ত্রিসভা অনুমোদিত খসড়া আইন, সাধারণ সরকারি নীতি ও রাষ্ট্রের খসড়া বাজেট নিয়ে আলোচনা করে থাকে শূরা কাউন্সিল।
এক বিবৃতিতে কাতার নিউজ এজেন্সি জানায়, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি শূরা কাউন্সিলের কয়েকটি সদস্যপদ নবায়নের একটি রাজকীয় ডিক্রি জারি করেন। সেই ডিক্রিতে চারজন নারীসহ ২৮ জন নতুন সদস্যকে কাউন্সিলে নিয়োগ দেওয়া হয়।
নিয়োগপ্রাপ্ত নারীরা হলেন- হেসা আল জাবের, আয়শা ইউসুফ আল মান্নাই, হিন্দ আবদুর রহমান আল মুফতাহ ও রিম আল মানসুরি।
কাতারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পরিষদ শূরা কাউন্সিলে নারীদের যুক্ত করার মধ্য দিয়ে দেশটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো। শূরা কাউন্সিলে নারীদের এই অন্তর্ভুক্তি প্রমাণ করে- সামাজিক বাধা উপেক্ষা করে দিনদিনই এগিয়ে যাচ্ছেন কাতারের নারীরা।
তবে শূরা কাউন্সিলে চার নারীর অংশগ্রহণ কাতারের নারীর ক্ষমতায়নের নারীর অর্ন্তভুক্তি এই প্রথম নয়। এর আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুইজন নারী সদস্য সরাসরি নির্বাচিত হন। সরাসরি ভোটে সেবারই প্রথম কোনো নারী সদস্য নির্বাচিত হন কাতারে।
শূরা কাউন্সিলের নতুন নারী সদস্যদের মধ্যে হেসা আল জাবের ২০১৩ সালে যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
প্রতিবেশি দেশগুলোর নানাবিধ বিধি-নিষেধ, অবরোধে জেরবার কাতারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিয়োগ পাওয়া নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছে দেশটির নারী সমাজ।
-এএফপি অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
এমএইউ/