শনিবার (২৫ নভেম্বর) ভোরে কাতারের দোহা থেকে তিনি চট্টগ্রাম পৌঁছান। বিমানবন্দর থেকে বিশিষ্ট এই আলেমকে ষোলশহরের জামিয়া আহমেদিয়া মাদরাসায় জিপে করে পৌঁছে দেন দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান পিএইচপি পরিবারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ভোর ৪টায় গিয়ে হুজুরকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে এসেছি। বিগত ১০ বছর ধরেই আল্লামা তাহের শাহকে নিজে ড্রাইভ করে পাশের সিটে বসিয়ে পৌঁছে দেওয়া অনেকটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। গাড়ি চালানোর সময় আমি খুবই সতর্ক ও সচেতন থাকি। তিনি পাশের সিটে বসে অনর্গল দোয়া-দরুদ পড়তে থাকেন। বিভিন্ন হাদিস বলেন।
‘তার একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি খুবই কম কথা বলেন। কারো দিকে একবার তাকিয়ে যদি হাসেন তাহলে বুঝতে হবে তিনি খুবই সৌভাগ্যবান। ’
![আল্লামা হাফেজ সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের শাহকে পাশের সিটে বসিয়ে নিজে গাড়ি চালাচ্ছেন ইকবাল হোসেন চৌধুরী/ছবি: বাংলানিউজ](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/120171126184542.jpg)
আল্লামা তাহের শাহকে অর্ভ্যথনা জানানো ও গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই দু’দিন আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন ইকবাল হোসেন চৌধুরী।
আগামী শনিবার (২ ডিসেম্বর) ‘জশনে জুলুস’ নামে বর্ণাঢ্য সুশৃঙ্খল শোভাযাত্রায় ৪০ লাখ লোক অংশ নেবে। যার নেতৃত্ব দেবেন আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের শাহ। আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট এ র্যালির আয়োজন করে। এতে গত কয়েকবছর ধরেই আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে পিএইচপি পরিবার।
উদ্যোক্তাদের দাবি, বিশ্বের আর কোনো রাষ্ট্রেই রসুলের জন্মদিন ১২ই রবিউল আউয়াল বা ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এতো বড় আয়োজন হয় না। ৪২ বছর আগে দেশের ঐতিহ্যবাহী সংবাদপত্র দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার থেকে তাহের শাহর দাদা সৈয়দ আহমেদ শাহ ছিরিকোটিকে প্রথম চট্টগ্রামে এনে এই আয়োজন শুরু করেন।
এবার এ আয়োজনে খরচ হবে ৫০ লাখ টাকা। সকাল ১০টা থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক ও পিইচপি পরিবারের পরিচালক আমির হোসেন সোহেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এএ