ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

পর্যটন খাত নিয়ে সৌদি আরবের নতুন চিন্তা

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
পর্যটন খাত নিয়ে সৌদি আরবের নতুন চিন্তা পর্যটকদের জন্য ভিসা উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব

বিশ্ব রাজনীতির নানা প্রেক্ষাপটে সৌদি আরব এখন আলোচনার তুঙ্গে। দেশটির বেশ কিছু নাটকীয় ঘটনা, পরিবর্তন ও সিদ্ধান্ত অবাক করছে বিশ্ববাসীকে।

বিশ্ববাসী গভীর আগ্রহের সঙ্গে এসব পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য রাখছেন। পরিবর্তনের যাত্রায় বৈধতা দেওয়া হয়েছে নারীদের গাড়ি চালানো, এমনকি তারা দাঁড়াতে পারবেন নির্বাচনেও।

বলা হচ্ছে সৌদি সরকার ‘ভিশন ২০৩০’ নামে এক মহাপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এরই অংশ হিসেবে এই পরিবর্তনের ছোঁয়া।  

কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনের নিগড়ে বাঁধা সৌদিতে বাণিজ্যিক সিনেমা হল চালানোর অনুমতিও মিলেছে। আর্ট ফেস্টিভাল থেকে শুরু করে লাইট শো এমনকি মিউজিক কনসার্টেরও অনুমতি মিলছে।  

বর্তমান সংস্কারের ধারাবাহিকতায় পর্যটকদের জন্য ভিসা উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষে সৌদিজুড়ে প্রায় ৯টি যাদুঘর ও ঐতিহ্য স্থাপনা প্রকল্পের জন্য প্রায় ১২শ’ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি সরকার।  

এর ফলে ভ্রমণ প্রিয়দের পছন্দের গন্তব্য হবে সৌদি আরব।  

সৌদি আরবের পর্যটন ও ন্যাশনাল হেরিটেজ (এসসিটিএইচ) কমিশনের ঘোষণায় জানা যায়, নতুন বছরে পর্যটকদের জন্য স্থাপনা ও যাদুঘর, ঐতিহ্য প্রকল্পে সরকারের খরচ হবে প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা।  

এসসিটিএইচের প্রেসিডেন্ট প্রিন্স সুলতান বিন সালমান বেশ কয়েকটি জাতীয় সংস্থার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছেন বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। কমিশন তাদের ঘোষণায় বলেছে, নতুন প্রকল্পে নতুন যাদুঘর প্রতিষ্ঠা ও পুরাতন যাদুঘরগুলোর উন্নয়ন, জাতীয় যাদুঘর সম্প্রসারণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।

কমিশনের বরাতে আরও জানা যায়, বর্তমানে ২৩০টি প্রকল্প রয়েছে। যা বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্য, যাদুঘর, ইসলামি ইতিহাসের স্মরণীয় স্থান। এ ছাড়া প্রাচীন হস্তশিল্প ও সৌদি আরবের ঐতিহ্য ধারণ করে এমন স্থাপনা নিয়ে সরকার কাজ করবে।  

নতুন প্রকল্পের আওতায় মক্কা অঞ্চলের আল-সাক্কাফের দর্শনীয় স্থান, মদিনার ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থান, তাবুক, বাহ, হেল, জোফ, নাজরান ও আসের বিভিন্ন আঞ্চলিক যাদুঘরগুলো পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু শর্তের ভিত্তিতে হজ ও ওমরার বাইরে পর্যটন ভিসা দেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষের আশা, সারাবিশ্বের পর্যটকরা সৌদি আরবের এসব এলাকা পরিদর্শনে আসবেন।  

ভ্রমণ ভিসার জন্য অনুমোদিত ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।  

উল্লেখ্য, তেল নির্ভর সৌদি আরব বর্তমানে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন যাবৎ তেলের দাম কাঙ্খিত মাত্রার নিচে থাকায় দেশটি ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ অবস্থায় তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে যুবরাজ সালমান নানামুখি পরিকল্পনা নিচ্ছেন। এর মধ্যে পর্যটন অন্যতম।

-আরব নিউজ অবলম্বনে

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।