তিনি একাধারে লেখক ও প্রকাশক। অবাক করার মতো তথ্য হলো, তিনি একটি গির্জার গায়ক দলের সক্রিয় সদস্যও।
আমেরিকায় মুসলিম সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে নারীদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার প্রতিবাদে প্রায় দুই বছর ধরে হিজাব পরিধান করে আসছেন ন্যানসি। তিনি হিজাব মাথায় গির্জায়ও যান।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার কথা বলে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। লেখিকা এলেন ট্রাম্পের এমন আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে লেখালেখি শুরু করেন।
এর পর বেশ কয়েকজন মুসলিম নারী নানাভাবে নিগৃহীত হলে প্রতিবাদস্বরূপ তিনি হিজাব পরিধানের সিদ্ধান্ত নেন।
তার মতে, মুসলিম নারীদের সমর্থনের উপায় হিসেবে হিজাবকে ব্যবহার শুরু করলেও এলেন শুরুতে কিছুতা ভয়ে থাকতেন। কিন্তু যতোই দিন গেছে এলেন ধীরে ধীরে সাহসি হয়ে উঠেছেন। এখন তো এলেন বলতে গেলে সারাক্ষাণই হিজাব পরিধান করে থাকেন।
এলেনের স্বামী ও দুই সন্তান তাকে বরাবরই সমর্থন দিয়ে গেছেন।
হিজাব পরিধান প্রসঙ্গে এলেন বলেন, যারা ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আমি তাদের সমর্থন করি না। কেননা প্রকৃত মুসলমানরা কোনো সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত নন।
এলেন বলেন, আমি অবাক হই- ট্রাম্প কিভাবে মুসলমানদের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধ করে। এটা কোনো অন্তর্জাতিক আইনের মধ্যে পড়ে না। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
ন্যানসি এলেন বলেন, আমি এ কারণে হিজাব পরা শুরু করেছি; যাতে ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে মানুষের খারাপ ও ভুল ধারণার অবসান ঘটে।
ন্যানসির এমন চিন্তাধারাকে মুসলমানরা স্বাগত জানিয়েছেন এবং তারা জোরালোভাবে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮
এমএইউ/