ইজতেমায় রংপুর অঞ্চলের তাবলিগের সাথীরা ছাড়াও সৌদি আরব, চীন, মরক্কো ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার তাবলিগি সাথীরা অংশ নিচ্ছেন।
ইজতেমাকে নির্বিঘ্ন করতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আশা করা হচ্ছে, রংপুরের ইজতেমায় দুই লাখেরও বেশি মুসল্লি অংশ নেবেন।
তাবলিগ জামাতের স্থানীয় সংগঠক মাওলানা আকরাম হোসাইন টেলিফোনে বাংলানিউজকে জানান, কাকরাইলের সিদ্ধান্ত মতে যে ৩২ জেলা এবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয়নি, তারা নিজ জেলায় আঞ্চলিক ইজতেমার আয়োজন করবে।
২০১০ সাল থেকে রংপুরে আঞ্চলিক ইজতেমা হয়ে আসছে। এবার রংপুরে চতুর্থবারের মতো ইজতেমা হচ্ছে। শনিবার সকালে মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমা শেষ হবে।
তিনি আরও জানান, বিগত বছরগুলোতে তিন দফায় রংপুর কালেক্টরেট মাঠে আঞ্চলিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিপুলসংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতির কারণে এবার বাস টার্মিনাল বানিয়াপাড়া এলাকার ১০ একর জমির ওপর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এরই মধ্যে তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। নির্মিত প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৫০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবে।
ইজতেমার আয়োজকদের একজন মাওলানা হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমায় বয়ান করতে এরই মধ্যে সৌদি আরব ও চীন থেকে ৯ জন করে এবং মরক্কো থেকে আটজনসহ কাকরাইল মসজিদের শুরা সদস্যরা এসেছেন। তারা বিভিন্ন পর্বে বয়ান করবেন।
রংপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জেলা প্রশাসন ইজতেমার আয়োজনে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করছে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এমএইউ/