ভুল-ত্রুটি নিয়েই মানুষের জীবন। আর আমরা যেহেতু মানুষ, ভুল আমাদের হবেই।
যেমনিভাবে গোনাহ না করতে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তেমনি গোনাহ করলে আশাহত না হওয়ার উপায়ও বলে দিয়েছেন। রেখেছেন পাপমোচনের পথ ও পদ্ধতি।
গোনাহ করা মানে এই নয়, ওই ব্যক্তি আল্লাহ ও রাসূলকে ভালোবাসে না। তাদের হুকুম মানতে প্রস্তুত নয়। বরং গোনাহগার ব্যক্তিও আল্লাহ ও রাসূলকে ভালোবাসতে পারেন।
যেমন হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। যাকে ‘হিমার তথা গাধা’ উপাধি দেওয়া হয়েছিলো। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাসাতেন। নবী করিম (সা.) মদপান করার কারণে তাকে কয়েকবার শাস্তিও দিয়েছিলেন। এমনিভাবে একদিন তাকে রাসূলের দরবারে আনা হলো এবং মদপানের কারণে বেত্রাঘাত করা হলো। এক ব্যক্তি বলে উঠলেন, আল্লাহ তার ওপর অভিশাপ করুন! কতবার তাকে নিয়ে আসা হয়েছে! রাসূল (সা.) প্রত্যুত্তরে বললেন, তাকে অভিশাপ দিও না। আল্লাহর কসম! তুমি জানো না, সে আল্লাহ ও তার রাসূলকে ভালোবাসে। -সহিহ বোখারি: ৬৭৮০
কাজেই গোনাহ না করার চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও গোনাহ হয়ে গেলে নিরাশ হওয়া যাবে না। পাশাপাশি গোনাহগারকে মন্দও বলা যাবে না, যতক্ষণ না প্রকাশ্য অন্য কোনো ক্ষতি হয়। কেননা, অনুতপ্ত গোনাহগার যে আল্লাহরও প্রিয় বান্দা!
অন্য হাদিসে হজরত রাসূল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ওই সত্ত্বার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ। যদি তোমরা গোনাহ না করতে, তাহলে আল্লাহ তোমাদের সরিয়ে এমন একদল মানুষ আনতেন, যারা গোনাহ করতো। এরপর তার কাছে ক্ষমা চাইতো। তিনি তাদের ক্ষমা করতেন। -সহিহ মুসলিম: ৭১৪১
সুতরাং মানুষের উচিৎ সর্বসাধ্য প্রয়োগ করে গোনাহ না করার চেষ্টা করা। তার পরও গোনাহ হয়ে গেলে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। ক্ষমার দরজা যে সবসময়ই খোলা!
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এমএইউ/