বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যোহরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ইজতেমা শুরু হয়।
তাবলীগ জামায়াতের আয়োজনে শহরের নূর মসজিদ সংলগ্ন সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে এ ইজতেমায় বাগেরহাট পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এসে সমবেত হয়েছেন ইজতেমায়।
মোরেলগঞ্জ থেকে আসা মুসল্লি মহিউদ্দিন কবির বাংলানিউজকে বলেন, আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে ইজতেমায় এসেছি। ইজতেমা শেষ হলে এক চিল্লা (৪১ দিনের সফর) দিতে বের হব।
ফকিরহাট থেকে আসা এশারাত ফকির বাংলানিউজকে বলেন, ইজতেমায় সব সময় ইহকাল ও পরকালের কল্যাণের কথা আলোচনা হয়। তাই হেদায়েত ও আল্লাহর রহমত পেতে ইজতেমায় এসেছি।
বাগেরহাট জেলা তাবলীগ জামায়াতের শুরা সদস্য ও ইজতেমা জিম্মাদার অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ২৫-৩০ হাজার মুসল্লি অংশ নেবেন ইজতেমায়। ইজতেমা শেষ হলে মুসল্লিরা এক চিল্লা দিতে দেশের বিভিন্ন মসজিদে যাবেন।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ইজতেমাকে ঘিরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ইজতেমা ময়দান ও তার আশপাশে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় ৩৫০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাট মডেল থানার পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হবে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাদ যোহর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এ ইজতেমা শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
টিএ