গাইড হিসেবে নিয়োগ পেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে জেলা প্রশাসক ও সভাপতি, জেলা হজ গাইড নির্বাচন কমিটি বরাবর প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত জমা দেওয়ার নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
৪ মার্চ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (হজ ১) এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবেদনকারীদের ৪৫ জন হজযাত্রী সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রী সংগ্রহের প্রমাণ হিসেবে পাসপোর্ট কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দাখিল করতে হবে।
আবেদনকারীকে একজন দক্ষ হজ গাইড ও অনধিক ৫৫ বছরের গ্রাজুয়েট/কামিল/ফাজিল/দাওরায়ে হাদিস/কোরআনের হাফেজ অথবা মসজিদের ইমাম হতে হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সংস্থা/প্রকল্পে কর্মরত গ্রাজুয়েট/কামিল/ফাজিল/দাওরায়ে হাদিস হতে হবে।
আবেদনকারীকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী বাংলাদেশি মুসলমান আমলওয়ালা পুরুষ, যাকে সিরাত-সুরাত, পোষাক, আদব-কায়দা ইত্যাদি ক্ষেত্রে মহানবী (সা.)-এর অনুসারী হতে হবে, ধার্মিক, নিরপেক্ষ, পরিশ্রমী ও অমায়িক এবং তাকে অবশ্যই হজের আহকাম-আরকান অর্থাৎ হজযাত্রীদের জেদ্দা-মক্কা, মদিনা, আরাফা, মুজদালিফা ও জামারায় করণীয় সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান, হজ ও ওমরা নীতি, হজ প্যাকেজ, লাগেজ রুলস, সৌদি আইন-কানুন, নাগরিক জ্ঞান ও ভ্রমণকালীন উদ্ভুত সমস্যা মোকাবেলায় পারদর্শী হতে হবে।
কোনো হজ এজেন্সির মালিক, অংশীদার কিংবা মোনাজ্জেম হজ গাইড হতে পারবেন না। একজন দক্ষ গাইড হিসেবে তাদেরকে জেলা হজ গাইড নির্বাচন কমিটির সুপারিশকৃত হতে হবে।
সরকার কর্তৃক মনোনীত গাইডকে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও কাউন্সেলর (হজ)-এর তত্ত্বাবধানে সৌদি আরবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এছাড়াও হজ ও ওমরাহ নীতি ও হজযাত্রীদের জন্য হজ গাইড ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গাইড লাইনসহ ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত নির্দেশনা পালন করতে হবে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
এমএইউ/